সারা বাংলা

ঘর সাজাতে পর্দা

দিলারা হোসেন : ঘর সাজাতে, জানালা রাঙাতে পর্দার জুড়ি নেই। নানা রঙের নানা রকম পর্দা। এই সময়ে জানালা বা দরজার ডিজাইন হিসেবে দুটো পর্দা বা তিনটা-চারটা পর্দাও ব্যবহৃত হচ্ছে। পর্দা ঝুলাতে দুই পাশে ডিজাইন করা, রট আয়রন, স্টিল, বাঁশ ও কাঠের তৈরি বিভিন্ন রকমের রেল পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে অর্ডার দিয়ে বিভিন্ন ডিজাইনের রেল তৈরি করিয়ে নেন। আর পর্দা বেঁধে রাখার জন্য পাট, পুঁতির তৈরি দড়ি কিংবা ফিতা, শুকনো ফুল, শামুকের মালা দেয়ালের সঙ্গে হুক লাগিয়ে বেঁধে রাখা যেতে পারে। তার আগে পর্দা বেছে নেওয়ার পালা।

পর্দা কেনার আগে : ঘরের দেয়াল, মেঝে ও আসবাবপত্রের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্দার রং নির্বাচন করা হয়। বাড়ির সদস্যদের পছন্দ অনুযায়ী একেক ঘরে একেক রঙের পর্দা লাগাতে পারেন বা পুরো ঘরে একই রঙের পর্দা লাগাতে পারেন। ঘরের মেঝে যদি হয় কাঠের বা কাঠ রঙের, তবে সে ক্ষেত্রে হালকা বা হালকা প্রিন্টের পর্দা হলে ভালো হয়, তা না হলে ঘরটা দেখতে ছোট মনে হবে।ঘর বুঝে পর্দা : শোবার ঘরে দিতে পারেন হালকা নীল, হালকা সবুজ, বেগুনি, গোলাপি রঙের পর্দা। ড্রয়িং রুমে ব্যবহার করতে পারেন কমলা, লাল, নীল, চকলেট, বাদামি রঙের পর্দা। শিশুর ঘরে তার পছন্দের কার্টুন, রূপকথা বা সৌরজগতের কাহিনীনির্ভর পর্দা দিতে পারেন।

ডাইনিং রুমে একটু মোটা ও গাঢ় রঙের পর্দা দেওয়াই ভালো, যেহেতু সেখানে লোকসমাগম বেশি থাকে।

পর্দা হতে পারে আপনার জানালার সমান লম্বা কিংবা মেঝে পর্যন্ত। সরাসরি রোদ পড়ে এমন জানালার পর্দা সাধারণত একটু ভারী হলে ভালো। পর্দার আকার বড় হলেই ভালো দেখায়। জানালার ওপর থেকে মেঝে পর্যন্ত পর্দা নেমে গেলে সেটা দেখতে অনেক আকর্ষণীয় মনে হয়।

পর্দাগুলো কখনো জানালার মধ্যে গুঁজে না রেখে ফিতা দিয়ে বেঁধে সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে পারেন। এতে পর্দার আয়রন নষ্ট হয় না। সুতি কাপড়ের রঙিন পর্দা খুব বেশি কড়া রোদে না শুকানোই ভালো। এতে রং উজ্জ্বলতা হারিয়ে পর্দা ফ্যাকাশে হয়ে যায়। যেসব পর্দা ঘরে ধোয়ার উপযোগী নয় সেসব লন্ড্রি থেকে পরিষ্কার করে আয়রন করিয়ে আনতে হবে।

একটু ভিন্নতা আনতে চাইলে কাপড়ের পর্দার বদলে বাঁশ বা বেতের চিক, পাটি, মাদুর দিয়েও পর্দার কাজ করা যায়।

 

পর্দা কোথায় পাবেন : তৈরি পর্দা পাবেন বিভিন্ন দোকানে; যেমন-আড়ং, যাত্রা, গুলশান ১-২ মার্কেট, নিউমার্কেট। কাপড় কিনতে চাইলে যেতে পারেন গুলশান, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, মৌচাক, নবাবপুর, ইসলামপুর ও বায়তুল মোকাররম মার্কেটে মিলবে নানা রকম পর্দা।

   

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৪/এএ