বাজেট

সাইদুলের কৃষি বিপ্লব

মোঃ মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ : হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ থেকে বাস গাড়ী করে বাহুবলের মিরপুর তেমুনিয়া। সেখান থেকে সিএনজি করে রশিদপুর চা-বাগানের ভেতরের পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে পৌঁছা যাবে ফয়জাবাদ হিল্সে।  এখানের পাহাড়ি টিলা আর সমতল মিলিয়ে প্রায় ৭৯২ শতক জমির মধ্যে মুসলিম বাগান অবস্থিত।

 

পৈত্রিক সূত্রে এ বাগানের মালিক বাহুবল উপজেলার পূর্ব ভাদেশ্বর পুকুরপাড় গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে শ্রীমঙ্গল কলেজের অনার্সের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম (২১)। এ বাগানের প্রধান ফসল লেবু। এরপর রয়েছে নাগা মরিচ, কলা, পেঁপেঁসহ নানা ধরনের ফসল। বার বার চলে বাগানে উৎপাদন। উৎপাদিত সফল বিক্রি করে যেমনটা স্বাবলম্বী হচ্ছেন সাইদুলের পরিবার, তেমনই এখানে কাজ করে আরও অর্ধশতাধিক পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হচ্ছে।

 

বাগানটিতে গেলে দেখা হয় সাইদুলের সঙ্গে। শ্রমিকরা গাছ থেকে লেবু সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করছেন, আর তারই তদারক করছেন সাইদুল। এ লেবুগুলো নিজস্ব পরিবহন করে আড়তে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনভাবে প্রতিদিন লেবু, নাগা মরিচ, কলা, পেঁপেঁসহ নানা ধরণের উৎপাদিত ফসল সংগ্রহ করে বিক্রি করেন সাইদুল।

 

একই জমিতে লেবু গাছের নিচে নাগা মরিচ। এরপাশে পেঁপেঁ আর কলা গাছ থেকে আশানুরুপ উৎপাদন পেয়ে খুশি সাইদুল। বলেন, ‘এ পাহাড়ে প্রথম তার মরহুম পিতা ( মুসলিম উদ্দিন) লেবু বাগান সৃজন করেন। আমাদের লেবু চাষের সফলতা দেখে আজ এখানে অনেকেই লেবু বাগান গড়েছেন।’

 

সাইদুল বলেন, ‘লেখাপড়ার অবসরে বাগানে সময় দিয়ে চাষাবাদ চালিয়ে যাচ্ছি। বাগানের নিরাপত্তায় পাহারাদার রয়েছে। এ ছাড়া অনেক  নারী ও পুরুষ শ্রমিক কাজ করছেন।’

 

তিনি জানান, শুষ্ক মৌসুমে পাম্পের মাধ্যমে গাছের গোড়ায় পানি দিলে বার মাসই ফসল ফলে। তার পিতা মারা যাওয়ার পর তিনি এ বাগানের হাল ধরেন।

   

রাইজিংবিডি/হবিগঞ্জ/৩১ মার্চ ২০১৬/মামুন/টিপু