বাজেট

পাটের খেতে ছানা পোকার আক্রমণ

জেলা প্রতিবেদকফরিদপুর, ২৯ এপ্রিল : দেশের সর্বাধিক গুণগত মানের পাট উৎপাদনকারী অঞ্চলখ্যাত ফরিদপুরের পাট চাষীরা ভালো নেই। একদিকে টানা খরা অন্যদিকে ছানা পোকার আক্রমণে ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কায় দিন কাটছে তাদের। বারবার ওষুধ প্রয়োগ করেও পোকা দমন করতে না পেরে চাষীরা হতাশ। টানা খরার কারণে জমিন ফেঁটে চৌচির। প্রায় এক মাস আগে চাষীরা পাট বুনলেও এখনো তা বৃষ্টির অভাবে বাড়তে পারেনি। কিছু কিছু চারা গজালেও কচি পাটের চারাগুলো রৌদ্রের খরতাপে শুকিয়ে যাচ্ছে।এর সাথে বাড়তি প্রতিবন্ধকতা হিসেবে সাথে যোগ হয়েছে ছানা পোকার আক্রমণ। দিনের বেলায় মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা এসব পোকা সন্ধ্যা হলেই মেতে ওঠে পাটের পাতা ও কান্ড ভক্ষণের মহোৎসবে। পাট গাছের কচি পাতা ও কান্ড খেয়ে ফেলায় চারাগাছগুলো মরে যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে ছানাপোকা নামে পরিচিত এই পোকা নিয়ে চাষীরা দূর্ভাবণায় পড়েছে। পাটচাষীরা বলছেন, অনেক জমিন পতিত থাকলেও লোকসানের শংকায় তা আর এবছর আবাদের আওতায় আনছেন না। মেশিন দিয়ে পানি দিয়েও খরার কারণে কোন লাভ হচ্ছেনা। এমনকি দুর্দিনে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কৃষি কর্মকর্তারাও পাশে নেই বলে জানান তারা।ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শংকর ভৌমিক জানান, লেদা বা ছানা পোকা দমণে উপজেলা পর্যায়ের কৃষিকর্মকর্তাদের সমন্বয়ে স্কোয়াড গঠন করে কাজ করা হচ্ছে। চলতি মৌসুমে ফরিদপুর জেলায় ৭৫ হাজার ২শ’ ৬৩ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিপরীতে আবাদ হয়েছে ৬৪ হাজার ৬শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে। পাটের ভাল ফলনের জন্য আবাদের শুরুর দিকে বৃষ্টিপাত হওয়া খুবই জরুরি। কিন্তু এ বছর পাট চাষাবাদের মৌসুম প্রায় পার হওয়ার উপক্রম হলেও দেখা মিলছে না সেই বৃষ্টির।

 

রাইজিংবিডি/মনিরুল ইসলাম টিটো/টিপু