ক্যাম্পাস

প্রিয়জনকে উদ্দেশ্য করে লেখা ‘শেষ চিঠি’

ফরহাদ হাসান এলিট: বিদায় বেলার সাজ-টাজে আর কাজ নেই। আমি যদি পারি চির সুখী হব অথবা হারিয়ে যাবো কথা দিলাম।এক চিলতে রোদ যেন ঈশ্বর আমাকে দেন, যার পরশ আমাকে ভাবাবে বেঁচে থাকার জন্য। আমার হৃদয়ের সাহিত্য নগর আজ আগুন দিয়ে পোড়ালাম। এই পৃথিবীতে আবেগের স্থান সর্বদা পায়ের এবং বিবেকের মাথার উপর।

তোমার মঙ্গল আজ একমাত্র চাওয়া। সেদিন মেসেঞ্জারের লেখাগুলো দেখলাম, পরিবর্তন আর পরিবর্তন। এই জীবনটা তো আমারই তাই না! এটাকে সাজানোর প্রয়োজন বোধ করছি না ঠিক, কিন্তু উপভোগ করবো বলে ভাবছি। লেখাগুলো আজ লেখছি নিজের উপর অপ্রত্যাশিত রাগ থেকে। তফাৎ না খুব বেশি, তফাৎ ছিলো চিন্তা চেতনায়। একজন মম আমাকে বাঁচতে শেখাবে, তার দর্শন আমাকে আলো দিবে এটাই কাম্য।

পড়ছো কি?

ফেলে দাও আমাকে, কারণ আমার হাজার অক্ষমতা বয়ে বেড়ানোর কোনো মানে নেই। একটা একটা কষ্টের পালা এসেছে বরণ করো তাকে। বিদায়কাল যে খুব নিকটে ঐশ্বর্য, আজ থেকে তোমার সকল দায়ভার তোমার।

কাউকে কথা দিয়েছিলাম চলে যাবার আগে চোখে চোখ রেখে বলবো চলে যাচ্ছি। সেটাই শুধু বাকি, তারপর আবার স্বাধীনতা। আমার জীবন, আমার স্বপ্ন, আমার কষ্ট এরা সবাই স্বাধীন হবে। শুধু বদ্ধ সেলে আমি থাকবো। কিঞ্চিৎ সার্থকতা এই যে আমি পেরেছি, সবাইকে স্বাধীন রাখতে।

বাপু এভাবে বিদায়কাল আমার কাম্য ছিল না। লেখাগুলো খুব অসহায় হয়ে যাচ্ছে ঠিক আমার মত।

আজ বাবার কথা খুব মনে পড়ছে। খুব শাসন পেতে ইচ্ছে করে বাবার। একটু উৎসাহ, সান্তনা, ভরসা এবং একটু ভালোবাসার পাওনাদার আমি। তুলে রেখো মৃত্য বেলায় নিয়ে যাবো।

তোমার ও পরিবারের সবার মঙ্গল কামনা করছি। দীর্ঘশ্বাসটা খুব গভীর ছিলো, তাই ভালো লাগছে, হয়তো ঘুম আসবে…

লেখক: শিক্ষার্থী, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়। রাইজিংবিডি/বেরোবি/৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯/মুশফিক প্রান্ত/হাকিম মাহি