ক্যাম্পাস

উৎকণ্ঠায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা

মেশকাত মিশু, রাবি: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অভিন্ন নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা নিয়ে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষকদের মাঝে। তাদের অভিযোগ, আইন করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে নিজস্বতা থাকায় নীতিমালার অভিন্নতা নিয়ে আছে অনেক প্রশ্ন। এসেছে ভিন্ন-ভিন্ন ব্যাখ্যাও। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন শিক্ষকের মতামতে এসব বিষয় উঠে এসেছে।

‘বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্বভাবে চলে। যেখানে জ্ঞান চর্চা হবে, সেখানে যদি আইন-কানুন, রাষ্ট্র, থানা-পুলিশ বা কোন রাজনৈতিক দল এসে মাতব্বরি করে তাহলে এটা হয় না। এটা বোঝাই যায়।’ বলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন।

তিনি মনে করেন, নীতিমালা বা যা কিছু লাগে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়কেই প্রণয়ন করতে দেয়া উচিত।’

রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আশরাফুল ইসলাম খান বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর এ চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে স্বায়ত্তশাসন কিছুটা খর্ব করা হয়েছে। সরকার সেখানে অনেক কিছুই করতে পারে। কিন্তু এই চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ে করতে পারে না।’

‘পিএইচডি ছাড়াও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯ বছরে অধ্যাপক হয়ে যাচ্ছেন। এটা কিন্তু শিক্ষার জন্য খুবই উদ্বেগজনক একটি বিষয়। আমরা চাই না কেউ কারো অধিকার খর্ব করুক। একই সাথে স্বায়ত্তশাসনের সাথে স্বেচ্ছাচারিতা মিশিয়ে যা খুশি তাই করবো এটাও চাই না।’

সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত হওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এসব বিষয়ের সিদ্ধান্ত হওয়া দরকার।’ এমন পরিস্থিতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পূর্বে নিজস্ব নীতিমালা গ্রহণ করতে না পারার ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন তিনি।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সার্বিক অবস্থানের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ফারুকী বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে নির্বাহী কমিটিকে নিয়ে বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

গত ২৫ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রীর সভাপতিত্বে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য অভিন্ন নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা হবে। রাইজিংবিডি/রাবি/১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯/মেশকাত মিশু/সাইফ