ক্যাম্পাস

সুরের মূর্ছনায় এক রাত

বাংলাদেশে শাস্ত্রীয় সংগীতের ধারা অব্যাহত এবং আরও বেগবান করতে ঢাকার বাইরে টানা তৃতীয় বারের মতো শাস্ত্রীয় সংগীতের সবচেয়ে বড় আসর বসেছিল রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি)।

সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের আয়োজনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাতভর আসরটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি মোট ৩০ জন শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী অংশগ্রহণ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ অনুষ্ঠানটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন। আসরে উচ্চাঙ্গসংগীত, যন্ত্রসংগীত এবং উচ্চাঙ্গ নৃত্য (ভরতনট্যম, কথক, মণিপুরী) পরিবেশিত হয়েছে।

এতে ঠাকুরগাঁও থেকে শাশ্বতী মহন্ত (কণ্ঠ), ঢাকা থেকে বাবরুল আলম চৌধুরী (নৃত্য), ভারত থেকে  বিপ্লব মুখার্জী (কণ্ঠ), ঢাকা থেকে প্রিয়াঙ্কা সরকার (নৃত্য), ভারত থেকে মধুমিতা পাল (নৃত্য), রাজশাহী থেকে আলমগীর পারভেজ (কণ্ঠ), ঢাকা থেকে মাহমুদুল হাসান (বেহালা), ভারত থেকে কোয়েল ভট্টাচার্য্য (বেহালা), ভারত থেকে অর্ণব ভট্টাচার্য (সরদ), ভারত থেকে পঞ্চজনা দে (বাঁশি), ভারত থেকে  নীলিমেশ চক্রবর্তী (তবলা), ভারত থেকে ইমন সরকার (তবলা), ভারত থেকে  অরজিৎ সরকার (তবলা) পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করেছেন।

এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজ আহমেদ বলেন, ‘প্রতিবছর শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসব দেখা ও উপভোগ করার জন্য এ দিনটার অপেক্ষায় থাকি। ঢাকার বাইরে সচরাচর এসব প্রোগ্রাম হয় না। আমাদের প্রচলিত সংগীত চর্চার বাইরে শুদ্ধ সংগীত মননের গঠনে সাহায্য করবে বলে আমি মনে করি।’

সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের সদস্য সচিব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শামসুল হক বলেন, ‘এরকম অনুষ্ঠান শোনার এবং দেখার সুযোগ সচরাচর হয় না। আমরা শিক্ষার্থীদের সুস্থ ধারার সংস্কৃতির সাথে পরিচিত করাতে চাই। তাই এ ধরনের আয়োজন শিক্ষার্থীদের সুস্থ সংস্কৃতি চর্চায় অনুপ্রেরণা যোগাবে।’

এবারের আসরের আহ্বায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আতিউর রহমান বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের বাতিঘর খ্যাত আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে সুস্থ ধারার সংস্কৃতি বিকাশ সাধন করা যায় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করা যায় সেই লক্ষ্যেই আমাদের এই আয়োজন। আশা করছি, বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভাবে উপভোগ্য হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ঢাকার বাইরে প্রথমবারের মতো শাস্ত্রীয় সংগীতের আয়োজন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্র। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবারের ন্যায় তৃতীয় বারের মতো এ শাস্ত্রীয় সংগীত উৎসবের আয়োজন করে সংগঠনটি। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার মাঝে ব্যাপক আগ্রহ লক্ষ করা যায়।’

 

বেরোবি/নবাব শরীয়তুল্লাহ/মাহি