ক্যাম্পাস

শিক্ষাবৃত্তি দেবে এডুহাইভ

ইন্টারনেট যখন বিশ্বব্যাপী চালু হলো, তখন পুরো দুনিয়াকে বলা হলো বিশ্বগ্রাম। ভৌগলিকভাবে দেশে দেশে কাঁটা তারের বেড়া থাকলেও ভার্চুয়াল জগতে সবাই একই পরিবারের সদস্য। সবাই সবার প্রায় সব প্রয়োজন মেটাতে পারেন অনলাইনে। কেনাকাটা থেকে শুরু করে পড়াশোনা সকল কিছুর জন্যই আমরা নির্ভর করি অনলাইনের উপর।

আর এই অনলাইনেই পরীক্ষা দিয়ে বৃত্তি জেতার সুযোগ দিচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক শিক্ষাবিষয়ক প্ল্যাটফর্ম ‘এডুহাইভ’। এডুহাইভ সারা দেশ থেকে জাতীয় ও জেলা পর্যায়ে মোট ২৮৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে প্রায় সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা সমমূল্যের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করবে।

এই শিক্ষাবৃত্তি লাভের জন্য একজন পরীক্ষার্থীকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রদান করে এডুহাইভ অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলা, ইংরেজি, পদার্থ, রসায়ন ও গণিত এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের বাংলা, ইংরেজি, অ্যাকাউন্টিং ও ম্যানেজমেন্ট এই ৪টি বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।এই বৃত্তি মূলত ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য। এজন্য পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে অধ্যয়নরত এবং সরকার অনুমোদিত কলেজের শিক্ষার্থী হতে হবে।

সম্ভাবনাময় মেধাবী শিক্ষার্থী খুঁজে বের করা, মেধাবীদের জন্য শিক্ষাকে সহজ করা, অসচ্ছল মেধাবীদের জন্য বিশেষ বৃত্তির ব্যবস্থা করা এবং মেয়েদেরকে উচ্চশিক্ষায় আরো আগ্রহী করা এসব উদ্দেশ্যেই ‘এডুহাইভ স্কলারস ২০২০’ নামের এই বৃত্তি প্রোগ্রামের চালু করা হয়েছে। এই শিক্ষাবৃত্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে এডুহাইভের ওয়েবসাইট () থেকে।

এই বৃত্তি প্রদান বিষয়ে এডুহাইভের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নাজমুল হক বলেন, ‘আমাদের মূল প্রচেষ্টাই হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যাতে খুব সহজে শিক্ষাসেবাগুলো ঘরে বসেই পেতে পারেন। সেই লক্ষ্যেই অনলাইন পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তির আয়োজন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে ৪৫ মিনিটের একটি অনলাইন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এই শিক্ষাবৃত্তি অর্জন করে নিতে পারেন।’

প্রযুক্তি নির্ভর এই মেধার প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নিঃসন্দেহে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আরো সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। শিক্ষার্থীরা এডুহাইভের মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তিতে নিজেদের যাচাই করে বিশ্বের অন্য দেশের শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলতে সক্ষম হবেন। সর্বোপরি, আমাদের দেশের শিক্ষার্থীরা প্রযুক্তির আলোকে যোগ্যতাসম্পন্ন হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে, এটাই সকলের কাম্য।

কবি সুনির্মল বসু তার কবিতায় বলেছিলেন, ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র, নানান ভাবে নতুন জিনিস-শিখছি দিবারাত্র’। বিশেষ করে কবির বিশ্বজোড়া পাঠশালার স্বপ্ন ইন্টারনেট আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। এখন এই নেট ব্যবহার করে এডুহাইভের মতো অনেক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। সহজ হয়েছে সবার সম্মিলিত শেখা এবং শেখানো।    

লেখক: শিক্ষার্থী, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, সাভার, ঢাকা। গবি/হাকিম মাহি