ক্যাম্পাস

আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ জবি ছাত্রী হলের উদ্বোধন

নয় বছরেও শেষ হয়নি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন একমাত্র ছাত্রী হল বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের কাজ। নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বারবার আশ্বাস দেয়া হলেও উদ্বোধন হয়নি। এদিকে জবি ভিসির দেয়া আশ্বাসও এখন হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাত্রীদের কাছে।

এ বছর জানুয়ারিতে উদ্বোধন হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন জবি উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান। কিন্তু সে আশায় আজ গুড়েবালি। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল নির্মাণাধীন হলটি ৯ বছর হতে চললো, এখনো উঠতে পারেনি ছাত্রীরা।

নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান জানিয়েছিল, গত বছর ডিসেম্বরেই ছাত্রী হলের কাজ শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও বলেছিল একই কথা।

সম্প্রতি নির্মাণকাজ পরিদর্শন শেষে জবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জানিয়েছিলেন, গত বছর ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে। এরপর আর এই প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, আমাদের মেয়েরা খুব শীঘ্রই হলে উঠতে পারবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, হলের প্রাথমিক কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। কিন্তু এখনো ছোটখাটো অনেক কাজই বাকি, ছাত্রীরা কবে হলে উঠতে পারবে তা সকলেরই অজানা।

হলের প্রজেক্ট ম্যানেজার হেলাল দায়ভার কাঁধে নিতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘হল হয়ে যাবে দুই/তিন মাসের মধ্যে, আমার হাতে কিছু নেই সব উপর মহলের হাতে। লিফটের অর্ডার হলে লিফট লাগানো হবে, অন্যান্য কাজ দুই/তিন মাসে শেষ হবে।’

তবে আদৌ এই সময়ে শেষ হবে কিনা, তা নিয়ে তিনি নিজেও সন্দিহান।

১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী কামরুন্নাহার বলেন, ‘দেখতে দেখতে আমার বাসার পাশে কতো বিল্ডিং ওঠে গেল, কিন্তু ছাত্রী হল আর দেখা হলো না। নবীন শিক্ষার্থীরা হয়তো পাবে, তবে আরো কতো কাল লাগবে কে জানে!’

জবির রসায়ন বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্ষেপ করে বলেন, ‘খাবার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে যাতায়াত, আবাসন কোনো দিকে নজর নেই জবি প্রশাসন কিংবা ভিসি স্যারের। জবিই একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানে হল থেকে শুরু করে সব কিছুর জন্য আন্দোলন করতে হয়!’

এ বিষয়ে জবি ভিসি ড. মীজানুর রহমানকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, ২০০৯ ও ২০১১ সালে হল উদ্ধার ও নির্মাণের দাবিতে আন্দোলনে নামে জবি শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ছাত্রী হল নির্মাণের ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ।

 

জবি/তমাল/মাহি