ক্যাম্পাস

জবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগে বসন্তবরণ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের বসন্তবরণ উৎসবের উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ধরনের সাংস্কৃতিক আয়াজন করা একান্ত জরুরি। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে আমাদের বাঙালিত্ব জাতিসত্তা ফুটে উঠবে। এমন প্রোগ্রামের যারা আয়োজন করেছে, তাদের মধ্যেও বিষয়টি ফুটে উঠেছে।

‘আসবে বসন্ত ম্যানেজমেন্টে’ প্রতিপাদ্যে জবির ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে ‘বসন্তোৎসব’ অনুষ্ঠিত হয়। রোববার সকাল সাড়ে ১০ থেকে শুরু হয়ে বিকেল অবধি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এ উৎসব হয়।

অনুষ্ঠানকে ঘিরে বাঙালি সংস্কৃতির অন্যতম এই উৎসবে মেয়েরাও পোশাকে জড়িয়েছেন বসন্তের রঙ। বাসন্তি রঙের শাড়ির সঙ্গে কেউবা খোঁপায় গুঁজেছেন হলুদ গাঁদা কিংবা রজনীগন্ধা। কারো কারো কপালে টিপের সঙ্গে মাথায় ছিল নানা রকমের ফুল জড়ানো টায়রা। ছেলেদের পোশাকেও ছিল বসন্তের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ রঙের আবহ। চিরহরিৎ বনে শুকনো পাতার ঝরে পড়া যেন নবনৃত্যকলা। নিরাভরণ শিমুল, পলাশ বনে আগুনঝরা রঙ। রক্তরঙা আভায় আলোর বিচ্ছুরণ। কেন্দ্রীয় মিলনায়তনকেও সাজানো হয়েছিলো ফাগুনের এক রঙিন আবহে।

শিক্ষার্থী বিকাশ সরকার হ্রিদ্ধ বলেন, ‘ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের কাছে এ ধরনের ঐতিহ্যবাহী আয়োজন সবসময় আশা করা হয়। কারণ বাঙালিয়ানা সকল সংস্কৃতিকেই লালন করে এই বিভাগ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ষড়ঋতুর বাংলাদেশের বৈচিত্র্য বিলুপ্তির পথে। এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রাকৃতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য লালন করতে চাই।’

উৎসবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার ড. কামালউদ্দিন, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, ব্যবসায় অনুষদের ডিন ড. এ কে এম মনিরুজ্জামান, রেজিস্ট্রার ড. ওহিদুজ্জামান ও বিভাগের চেয়ারম্যান ড. গোলাম মোস্তফাসহ বিভাগের অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। জবি/তমাল/মাহি