ক্যাম্পাস

ডোনেট প্লাজমায় বিশ্বে ২য় ড্যাফোডিল টিম

করোনায় আক্রান্ত রোগীর জন্য প্লাজমা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেটা সংগ্রহ করা হয় পূর্বে করোনায় আক্রান্ত সুস্থ ব্যক্তির শরীর থেকে। আমরা রক্ত খুঁজতে গিয়েই হিমশিম খাই অনেক সময়। এক্ষেত্রে প্লাজমা খোঁজাটা অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার।

কিন্তু যদি এমনটা হয়, যারা স্বেচ্ছায় প্লাজমা দিতে আগ্রহী আর যাদের এটা প্রয়োজন তারা যদি একসাথে একই প্ল্যাটফর্মে একটা মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে পেয়ে যান, তাহলে বিষয়টা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। দেওয়া থাকবে ডোনারের লোকেশন, ফোন নম্বরসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য। এমন চিন্তাভাবনা নিয়েই কাজ করেছে টিম টাইগার্স।

গত ২৭ জুন আয়োজিত হয় ‘আন্তর্জাতিক ফ্লাটার মোবাইল অ্যাপলিকেশন হ্যাকাথন’। স্পন্সর করে গুগল। ২৭ এবং ২৮ জুন দুই দিনব্যাপী হ্যাকাথন চলে। দীর্ঘ ৪৮ ঘণ্টার হ্যাকাথনে অংশ নেয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৬৫০টা দল। সাবমিট করা হয় ২৬৬টা প্রজেক্ট।

ফ্লাটার সম্পর্কে সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্লাটার হচ্ছে গুগলের তৈরি Mobile Application Development Framework । যা দিয়ে একই কোডে Android ও iOS এর জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায়।

হ্যাকাথনে কাজ ছিল নির্ধারিত বিষয়ের উপর আইডিয়া বের করা। প্রমোশনাল ভিডিওর মাধ্যমে সেটা উপস্থাপন করা এবং ডেমো হিসেবে ইউজার ইন্টারফেস ডিজাইন করা। সবকিছু চলে অনলাইনের মাধ্যমেই।

বিভিন্ন বিষয় যাচাই-বাছাই শেষে বিচারকদের খুঁটিনাটি বিশ্লেষণের মাধ্যমে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয় গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায়। সেখানে ‘ডোনেট প্লাজমা’ প্রজেক্ট নিয়ে ২য় অবস্থানে দেখা যায় ‘টিম টাইগার্স’ এর নাম। ‘টিম টাইগার্স’ এ ছিলেন   ফাহাদ, সৌরভ, জুবায়ের, শিবলী আর নাদিয়া। দলের সবাই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার প্রকৌশল বিভাগের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে বিজয়ীদের জন্য  থাকছে ২০০০ ডলারের ইলেক্ট্রনিকস, ট্রফি, টি-শার্ট, সার্টিফিকেট, ১৫০০ ডলারের হোস্টিং ক্রেডিট।

 

ডিআইইউ/মাহি