ক্যাম্পাস

ছোটগল্প: প্যালিন্ড্রোম ইভ

''এইযে শহর!

রাত্রি-প্রহর তোমার নামের স্তুতি,

শুনতে পাও?"

 

-তুই শহর নিয়ে লিখছিস কেনো?

-"এইযে শহর!

মোহর-জহর চাইনি তো,

বুঝতে চাও?"

 

- ছন্দ ভালো হয় নাই এটা।

-তোর কবিতা ভালো লাগে?

-ভালো লাগে না যে তেমন না। তবে পড়ার আগ্রহ পাইনা।

--আচ্ছা!

মেসেজ সিন করে রেখে দিলো মেয়েটা। আমি খবর না নিলে আর সাড়া পাবার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। আমিও এক  দু’দিন গো ধরে থাকবো। আশায় থাকবো। তারপর সিদ্ধান্ত নেবো। আর কখনোই মেসেজ দেব না। কিছুক্ষণ পর আমি অবশ্যই মেসেজ দেবো। তার নাম সোহা। নামের মানে বের করলে দাঁড়াবে ক্ষুদ্র নক্ষত্র। এমন হাসিখুসি মেয়ে কারো ক্ষুদ্র জীবনে নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করবে এটাই স্বাভাবিক। নামের সাথে রূপ-গুণের যথেষ্ট মিলও আছে।

তোর জন্য ‘তোমার’ উপমাতে চিঠি লিখি,

তোমার পড়তে অসুবিধে হলে ‘তুই’ পড়িস!

জিজ্ঞেস কোরো ক্ষণ ''কার জন্য 'তুমি' উপমা ব্যবহার করিস?"

এটুকু লিখে বাজারের দিকে গেলাম। লকডাউনের বালাই নেই। টং দোকানের ছাউনিটা সাড়া হচ্ছে তাড়াহুড়ো করে। সব ধরনের দোকানপাট খোলা। চাইলেই বিরিয়ানি কিনে বিড়ি ফুকতে ফুকতে বাড়ি ফেরা যায়। কোনো মহামারি যে বিশাল ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে তার বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই কারো মধ্যে। আসলে যুদ্ধ প্রত্যক্ষ না করলে, হাতের বালা, সিঁথির সিঁদুর, প্রসাধনী ত্যাগের যন্ত্রনা বুঝতে পারা যায় না। মানুষ মানে যে  তার মৃত্যু আছে কিন্তু বিশ্বাস করতে চায় না সহজে। হিউমান সাইকোলজি অনেক জটিল। পড়ালেখা না করে, এটা নিয়ে মনগড়া কথা বলা একধরনের বোকামি। বাড়ি ফিরে নোট প্যাডে অন্য পেজ বের করে কিছু একটা লিখলাম। কেন লিখলাম তা জানি না-

“আমি দরদ বেঁচে মলম কিনি,

ঘা উপশম হচ্ছে  তাও!

রাস্তাঘাটের প্রতি  বাঁকে, প্রতি দেয়ালে গম পেস্ট দিয়ে এঁটে দেয়া পোস্টারে, প্রতি জনছাউনির পাশের বিলবোর্ডে না পাওয়ার স্তুতি গেয়ে যাচ্ছে সবাই।

কোথাও লেখা,

''জরুরি বিজ্ঞপ্তি'' কোথাও লেখা 'গৃহশিক্ষক জলদি!'

কোথাও লেখা রাঙ্গা কালিতে ,

''অমুক ভাইয়ের মুক্তি চাই'' যদিও ঘরের ভাত ঘরে নাই!

কোথাও আছে নিজের মানুষ না থাকার হাহাকার,

'শুনছো, হৃদয়হীনা তোমায় ভীষণ দরকার!”

বড় বদঅভ্যেস হয়েছে। লিখতে লিখতে মানুষ চেয়ে ফেলি নির্লজ্জের মতো। আচ্ছা, কথা বলার সময় বদঅভ্যেস বলতাম না বদঅভ্যাস? যদি হৃদয়হীনার সাথে কথা বলতে যেতাম তখন কি বলে ফেলতাম-

“মাস গেলে মাইনে নিও,

অপ্রেম দিও জমা!

খবরের কাগজে লেখা এসেছে,

বদঅভ্যাসের নেই ক্ষমা”

ও বোধহয় বলত-

“মাইনে দেয় আবার কে আমায়…?”

আমি কি বলতে পারতাম,

“এইযে শহর!

আমার শহরটাই তুমি।

কী বলো ছাই!

মাইনে হিসেবে গত মাসে একটুও প্রেম দেইনি?”

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে কথা বলার সুযোগ থাকলে বোধহয় বলতাম,

“আমি বিরহ বেঁচে তোমায় লেখিনা,

বলতে পারো?

“কত পক্ষ তোমায় দেখিনা? ”

“পক্ষের হিসেব ওকে শিখিয়েছিলাম। হিসেব সোজা-

“বুঝলি, এক পক্ষে চৌদ্দ দিন। পূর্ণিমাতিথিতে চাঁদের বয়স ১৪ দিন। আর কাজল চোখা মেয়ের বয়স আঠেরো।”

যেখানে প্রেম বা বাধ্যবাধকতা নেই সেখানে স্বাভাবিকভাবেই চেষ্টা থাকার কথা না। পক্ষের হিসেব বের করবে এমন ভাবা তাই চিলের চোখ এ তীর মারার মতো। এমনিতেও এ কথা বলা যেত না ওকে। হয় লাইনদুটো নিয়ে মজা করে এড়িয়ে যেত নতুবা মুখ কালো করে চলে যেত।তাই আমাকে গাল প্রশস্ত করে জিজ্ঞেস করতে হতো-

'কীরে কেমন আছিস? করোনা-টরোনা ধরেনি তো। গোলাপি মাস্কে গোলাপি গোলাপি লাগছে!'

হেসে দিতো। আমি সেখানেই ফ্রিজ হয়ে যেতাম। মনে হতো সেই ছোটবেলার ফ্রিজ হওয়ার গেমটা খেলছি, সে বলছে, ‘এলোন্টি লণ্ঠন ঘড়ি বাজে টনটন এক দুইতিন'

আমি পুরো ফ্রিজ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছি। কারো সাধ্য নেই আমাকে সড়াবে। কিন্তু মেয়েটা তাকেই বেছে নিবে যে নড়েছে। আমি তাকিয়ে থাকবো মেয়েটার হাসির দিকে। সে প্রথম প্রচেষ্টাতেই খেলার চোর বেছে নিতে সক্ষম হবে। অনেক্ষণ ধরে হাসবে। আমি বলবো 'সোহা হাসো!'

দিন দুয়েক পর নক দিলাম,

“কেমন আছিস?”

-ভালোই আছি।

-আমিও ভালো আছি।

কিছুক্ষণ কথা বলল। মনে হলো, আজ দিনটা ভালো যাবে। আবার সিন করে রেখে দিলো। এই মেসেঞ্জার ফেসবুকের যুগে প্রেমে পড়া ভয়াবহ ব্যাপার। মনের কথা হুট করে বলে দেয়া যায়। হুট করে প্রত্যাখ্যান ও করে ফেলা যায়। আমি ওকে অনেক আগেই বলেছি,

-“আকাশ  কাঁদলে তোমার হলে বৃষ্টিযাপন,

আমার আকাশে তুমিহীনতার আছে কী কারণ?”

-'তুমি' বলে ডাকবি না। 'তুই 'বলে ডাকবি।

-অবশ্যই ডাকবো না।

ঈশ্বরের কাছে সব চাওয়া গেলেও মানুষ চাওয়া যায় না বোধহয়। তবে মানুষের নামে উড়োনালিশ কি করা যায়? করা গেলে নিশ্চয় জানতে চাইতাম কেনো 'তুমি' ডাকা অপরাধ!

বাপজান ডাক দিলো-

-নামাজ পড়ো।

-আচ্ছা। একটু পর পড়ছি।

-হু। এদের একটাকেও সময়ের কাজ সময়ে করতে বললে করে না।

আম্মা সাথে জোড়া লাগালো কিছু কথা। বড়বোন বাদ গেলো না।

নামাজ পড়ে নিলাম।

সার্টিফিকেট অনুসারে আমি খোকা বলা চলে। বয়স মাত্র ষোল। আচ্ছা ষোল আর আঠারো বছরের ছেলের মাঝে কি মানসিক পার্থক্য থাকে? কারো অবহেলা। অনাদরে কি দু’জনেই রাতের আড়ালে ফট করে কেঁদে ফেলে? মানুষের কী যোগ্যতা থাকলে কারো প্রতি একটু হলেও অনুভূতি আসতে পারে? কেউ তোমাকে এতো চাচ্ছে আর তুমি তাকে নিয়ে একটুও ভাববে না? আগের ছেলেগুলোও কী তোমার চোখের কথা বলেছে? হাসির কথা বলেছে? তোমাকে পেতে চাইলে নতুন কিছু বলতে হবে? আচ্ছা আঠারো বছর বয়সে পাবো কীভাবে?আমি কী তোমার জন্য অপেক্ষাও করতে পারবো না? কারন অনেকে অপেক্ষা করছে তাই? এমন হাজার প্রশ্ন মাথা খাচ্ছে। নির্লজ্জের মতো বসে আছি। নিজেকে ইদানিং একঘেঁয়ে লাগে।

“রাত্রি গুনে যাত্রি মাপছি, তারা দেখে হাটছি খুব,

তোমার প্রেমে হয়ে গেছি বেশ স্কন্ধকাটা ভূত”

“নতুন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা 2000, মৃতের সংখ্যা বারো”। এটি এন বাংলার সুন্দরী সংবাদ পাঠিকা তার মিস্টি কণ্ঠে চমকপ্রদ ভাবে বলছে। সংবাদপাঠিকাদের চোখকে ভাবলেশহীন অনেকটা বলা যায়। তাদের শাড়ীগুলো কি চ্যানেল থেকেই দেয়? নাকি নিজেদের। পৃথিবীর কঠিনতম জিনিসগুলি সুন্দর কিছুর মাধ্যমে পেলে মন্দ হয় না। এই যেমন করোনা সংবাদ। প্রত্যাখ্যানও ওই গোছের। সেটা পেলাম পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটার কাছ থেকে। করোনা সংবাদটা ঘুরালাম। ভারতীয় চ্যানেল দেখে আসি। ওখানে চোখে চোখ পড়লেই ভালোবাস হয়। এখানে জানার সুযোগ দিলেও কেউ ফিরে থাকে না। ভারতীয় চ্যানেলগুলাকে প্যারালাল ইউনিভার্সের সাথে তুলনা করা যায় দেখি। হাহাহাহাহাহাহ....!

-সূর্য, হাসিস কেনো। তোর মা যে সারাদিন একা  বসে থাকে দেখিস না। আমার কাছে এসে একটু বস দেখি।

-আসি মা।

-গান শুনা দেখি ‘কতোবার ভেবেছিনু আপনা ভুলিয়া তোমার চরনে দিব হৃদয় খুলিয়া’

-আচ্ছা মা শুনাচ্ছি।

মা কে যদি বলা যেত এই গানটা আমি একজন উন্নতমানের হৃদয়হীনার জন্য রেখে দিয়েছি। কতোই না ভালো হতো। না মন্দ হতো?

“চরনে ধরিয়া তব কহিব প্রকাশি, গোপনে তোমারে সখা কত ভালোবাসি!

ভেবেছিনু কোথা, তুমি স্বর্গেরো দেবতা, কেমনে তোমারে কবো প্রণয়ের কথা”

‘আব্বা দরজাডা লাগায় দিয়ে যাও তো। তোমার জরির ভাইয়ের বউ পাগলা হইছে। সংসার করতে চায় না। দেখি কি করা যায়।’

আব্বা চলে গেলো সংসার জোড়া লাগাতে। পাওয়া হয়ে গেলে কী ভালোবাসা কমে যায়? আমি কখনোই কমতে দেবো না। নাকি আমার ধারনা একটা বয়সে আটকে আছে। বয়স গেলে পাল্টাবে।

আজ অনেক কঠিন কথা শুনালো সোহা। কথা শুনায়নি আসলে। লিখেছে। আমি পড়েছি আধো। প্রিয় মানুষদের কঠিন কথা নেয়া যায় না। ভার্চুয়াল কনভারসেশনে ও টের ও পাবে না কতোটা অস্বস্তি-ভয় নিয়ে পড়া শুরু করেছিলাম। নিজেকে কতটা অন্তসারশুন্য লাগছিলো আধা পড়ে। তার লেখাগুলোর মূল প্রতিপাদ্য ‘তুই কখনোই আমাকে পাচ্ছিস না। ভালো খা, ভালো ঘুমা, পড়ালেখা করে বড় হ’ বেঁচে থাকার উপদেশ বলা চলে। আমিও শেষ বলে দিলাম আর জালাবো না। কিন্তু সেই শেষটা সকালের বেশি গড়ালো না। সকালেই নক দিলাম যেন বুকের ভেতরে কিছুই হয়নি। আমি যে তার কঠিন কথায় ঘোরে চলে যাই। সে কি জানে না? তাকে কল্পনা করে কথা বলি। নালিশ জানাই। ভালোবাসা দেই, অপ্রেম নেই। জানে সে?

-সন্ধ্যাতারার সাথে আমার কথা হয়।

-কী বিষয়ে কথা হয়?

মিহি কণ্ঠের কেউ বললো। এমন অবস্থা হলে এককালে ভয় পেতাম। এখন ভয়কে খানিক সরিয়ে ফেলেছি। নিস্তব্ধতা আজকাল  খুব একটা খারাপ লাগে না।

-কী বিষয়ে কথা...

-হ্যাঁ বলছি।

-বলুন।

-‘এইযে আমি তোমায় নিয়ে ভাবি,

তোমার চোখে কাজল আঁকি'

দেখতে পাও?

তোমার সীমা পাখির ডানায় রেখে,

তোমায় কিন্তু পাখির নীড় দেই না।

তোমায় রাখি ঝিনুকমালায় সাজিয়ে’

তারপরে আর একদমে বানাতে পারছি না ছন্দ।

-ছন্দ জিজ্ঞেস করেছি? বলেছিলাম কি নিয়ে কথা হয় সন্ধ্যাতারার সাথে।

-আচ্ছা, তোমাকে নিয়ে।

-আমাকে নিয়ে?

-আমি তো জানি না তুমি কে? আমি ‘তোমাকে’ নিয়ে কথা বলি সন্ধ্যাতারার সাথে।

-আচ্ছা! ধরুন আমি আপনার ঐ ‘তোমাকে’

মেয়েটা হেসে উঠলো। আমার লজ্জা লাগছে না এখন। অন্যসময় এমন হলে খুব লজ্জা লাগতো।

-পরের ছন্দ মিলাবে না?

-‘আমার চাওয়া হয়েছে ঘাট,

তোমার জন্য চিঠি লিখেছি,

প্রেমপত্র তকমা দিইনি...পড়ে দেখো;

সুযোগ বুঝে চিঠির জবাব লেখো’

-তারপর ?

-তারপর বলতে কিছু নেই। কিছু জিনিস অসীম থেকে এসে অসীমেই মিলে যায়। কেউ বোকামি বলে। কেউ প্রেম বলে। কেউ বা কিছুই বলে না। তুমি কি বলো?

-আমি শুধু শুনতে পারবো। বলতে পারবো না কিছু। হিহিহিহি!

-তাইলে শুনো,

‘সন্ধ্যাতারার কাছে আমি নালিশ লিখি রোজ,

শুনতে চাইলে বলে ফেলব,

পড়তে চাইলে লিখে দেবো সত্যায়িত করে,

সারাদিন করি তোমার চোখের খোঁজ ’

-চোখ খুজে কি পাও?

-‘এক সমুদ্র!

আমাকে তার গভীরতায় টানে,

আবার ইচ্ছে করেই ডুবিয়ে দেয়’

-আর কি কথা বলো তাকে নিয়ে সন্ধ্যাতারার কাছে?

-‘সে অনেকের অনেক আগের আবিস্কার,

তার চোখ, যেটা সবচেয়ে মোহনীয়,

তার ঠোট, তার মিহি কণ্ঠস্বর, সবকিছু...

তুমি তার হাসি দেখেছ?

-তুমি দেখাতে পারবে?

-“না লেখা খাতায় লিখে ফেলা যায় অনেক কিছু,

তার হাসিও তেমন,

আষাঢ়ের দিনে ঘনবর্ষণ,বসন্তের মতো আরাধ্য,''

-আর না থাকলে হাসি?

-“'একে তো আমি অনুর্বর ভুমি, তার উপরে খরা”

প্যালিন্ড্রোম মেয়েটাকে যেভাবেই পড়তে যাইনা কেন একই কথা পাই। '

“আমি তোমার নই, আমি অন্য কারো”

আবার পড়ি। আবার এটা আসে। আমি মেনে নেই। বিশ্বাস করি না। মৃত্যু আর তুমি কি এক? মানি কিন্তু সহজে বিশ্বাস করি না আমরা। মৃত্যুতে ভরসা থাকলে অবশ্যই খাঁটের নিচ থেকে তেল পাওয়া যেত না। খনি থেকেই পাওয়া যেত। তোমাকে নিয়ে একটা লাইন লিখি। অনেক ভেবে লিখেছি এমন ভাব ধরব। অনেক কালক্ষেপণ করে লিখব। তুমি কী তবে গুরুত্ব  দিবে? তিনদিন তোমার সাথে কথা হয় না। তুমি বোধকরি বলে দিচ্ছ-

‘হেতা হতে যাও পুরাতন। হেতা নতুন খেলা আরম্ভ হয়েছে’

হলে হোক। আমি লাইন বানাবোই,

“সোহা হাসো। আচ্ছা উল্টিয়ে পড়ি তো- ‘সো হা হা সো’ আরে “সোহা হাসো”-ই হচ্ছে। তুমি আজীবন হাসো আমার প্যালিন্ড্রোম ইভ। আজীবন রাখো আমাকে নোবডি বানিয়ে।

লকডাউন ফুরোলেই তোমায় দেখবো। আমার ধারণা শুক্লাপক্ষে লকডাউন উঠবে। চাঁদের আলোমেখে তুমি কলেজে আসবে। আমি বারকয়েক দেখবো। আরো বারকয়েক দেখবো।

“অনিবার্য কারণবশত রোদ দেখছে না চোখ,

চোখ দেখছে না চোখ।

অনিবার্য কারণবশত শব্দভুলে বাক্য হচ্ছে, কাগজের অসম্মতিতে বাক্য হচ্ছে না ‘চিঠি’।

প্রার্থনা করি ,শুক্লাপক্ষের আলোমাখা তোমায় যেন দেখি।”

সাল ২০৩২ এর সেপ্টেম্বরের কোনো এক বিশেষ মাঝরাতে সূর্য ভাড়া বাড়ির ছাদের রেলিং ধরে হাঁটছে। ছাদে জোছনা আছে। জোনাকি আছে। সূর্য’র হাতে চিঠি।

“আরো হাজার বছর হাসো তুমি। সৃষ্টিকর্তার কাছে এই প্রার্থনা করি। তোমার নামে দীর্ঘ চিঠি। হুমায়ূন আহমেদ এর বই। শুভেচ্ছা জানানোর আর মাধ্যম নেই। থাকলে জানাতাম।নক্ষত্রখচিত আকাশেই আমার জীবনের ধ্রুব তারাকে দিলাম অসংখ্য ভালোবাসা।”

লেখক: শিক্ষার্থী, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ।

 

ঢাকা/ মাহফুজ