আমি বটবৃক্ষ-
উদার আকাশের নিচে শিনা টান করে থাকি।
আমি প্রচণ্ড গ্রীষ্মের উড়ন্ত ফড়িং,
সবুজ মাঠে শিশুদের মুখে
দুরন্ত হাসি আঁকি।
আমি বিস্তীর্ণ পথ-
আমার আবেগের জলে হয় খরস্রোতা সাগর।
কখনোবা তাকে শুকিয়ে গুছিয়ে সাজাই
কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, কদম ফুলে
ভালোবাসার চাদর।
আমি এক অশরীরী আত্মা-
অভয়ারণ্যে নিজেকে হারাই
মানুষের ধারে কাছে থাকি না
রজনীগন্ধা, পিটুনিয়া, মাধবীলতার সাথে;
পুলকিত সুভাস ছড়াই!
আমি এক অবিরত মায়া-
দুঃখকে আটকে রাখি বেড়াজালে
সুখ দেখলে মুখ ফিরিয়ে নেই
কখনোবা পথভ্রষ্টরূপে বেদনা কুড়াই
এই তো মোর সখ্যতা, পিছুটানের আড়ালে।
আমি এক জায়নামায-
আমার গায়ে ফুটে তোলে চারুর লতা, আলপনা।
আড়ি পেতে শুনি শ্রেষ্ঠ মানবের আহাজারি
হতে পারি এক তুচ্ছ বস্তু,
দামে ওজনে পাঁচ আনা।
আমি রূপকথার গল্পে এক নিপীড়িত প্রজা-
রোদ বৃষ্টির সঙ্গে করি আলাপ
রাজরানীকে বাঁচাতে যুদ্ধে নামি
অন্যায়, অবিচারে মাথা চাড়া দিয়ে উঠি
এই তো আমি—-আমার কার্যকলাপ।
কবি: শিক্ষার্থী, সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া।
ইবি/মাহি