ক্যাম্পাস

প্রকৃতির দখলে যবিপ্রবি ক্যাম্পাস

৩৫ একরের ছোট্ট একটি ক্যাম্পাস যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। যশোর শহর থেকে প্রায় ১২ কিমি দূরে চৌগাছা উপজেলার আমবটতলা নামক গ্রামে অবস্থিত। প্রায় ১২ বছর আগে শিক্ষা ও গবেষণার জন্য প্রকৃতির কাছ থেকে এক প্রকার কেড়েই নেওয়া হয়েছে জায়গাটি।

দেশের শিক্ষা ও গবেষণার যে উদ্দেশ্যে এই শিক্ষাঙ্গন গড়ে তোলা হয়েছিল তাতে অনেকটাই অগ্রণী ভুমিকা রেখে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। শিক্ষা ও গবেষণায় অগ্রণী ভূমিকা রাখছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি । কিন্তু মহামারি করোনা যেন প্রকৃতির জন্য আশীর্বাদ হয়ে পুনরায় জায়গাটির দখল ফিরিয়ে দিয়েছে প্রকৃতিকে । দিন দিন ইটপাথরের ভবনগুলোরও যেন দখল নিচ্ছে প্রকৃতি!

জনমানব শূণ্য এই পরিস্থিতিতে প্রকৃতি যেন তার  অপরূপ সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলেছে নিজের মতো। ক্যাম্পাসের সারাক্ষণ যত্নে রাখা ফুলের গাছগুলো পরম অযত্নে যেন আরও বেশি সুন্দর হয়ে উঠেছে। রাস্তার পাশে জন্মেছে বাহারি ফুল। এ যেন প্রকৃতির চিরযৌবনা রূপ।

ভবনগুলো চলে গেছে পাখিদের দখলে। দেওয়াল আর বিদ্যুত বোর্ডগুলোতে গড়ে তুলেছে নীড়। বাদ যায়নি রাউটারের ফাঁকা জায়গাটাও। শিক্ষার্থীদের হল আর একাডেমিক ভবন সবই এখন তাদের দখলে।

প্রকৃতি যেন আলিঙ্গন করছে গোটা শিক্ষাঙ্গনটিকে তার চিরযৌবনা সৌন্দর্যের মাধ্যমে। মৌমাছির চাক বেঁধেছে শহীদ মসিয়ূর রহমান হলে। চারিদিকে পাখির ডাক। নেই কোলাহল। ৩৫ একর জমি এখন তাদেরই।

করোনাই প্রকৃতিকে ফিরিয়ে দিয়েছে তাদের এই নিবাস। আবার যখন সবকিছু স্বাভাবিক হবে তখন দখল নিব আমরা- মানব সমাজ। তখন প্রকৃতি হয়তবা চেয়ে থাকবে আবারও কোন এক মহামারির অপেক্ষায় তার আদিরূপ ফিরে পাবার আশায়।

লেখক: শিক্ষার্থী, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)।

   

ঢাকা/মাহফুজ