ক্যাম্পাস

চল যাই বাসুলিয়া…

প্রকৃতির রূপ কাছ থেকে উপভোগ করতে আমরা দূর-দূরান্তে ছুটে যাই। চেনা সব পর্যটন কেন্দ্রের দিকে তাকাতে গিয়ে বাড়ির কাছেই দৃষ্টির অবহেলায় পড়ে থাকে কত না রূপের আধার! এমনই এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত স্থান টাঙ্গাইল থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাসাইল উপজেলার বাসুলিয়া।

চারদিকে থৈ থৈ করা পানি। সেখানে নৌকায় ঘুরে বেড়ানো এক দারুণ আনন্দের মুহূর্ত। সড়ক ঘেঁষা বিলের মাঝখানে হিজল গাছ। এ যেন প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যায়ন। বাসুলিয়া বিলে নানা বয়সী নারী-পুরুষ তাদের প্রিয়জনদের নিয়ে বেড়াতে আসেন। কেউ সড়ক পথে আবার কেউ নৌ পথে।

বিশাল এলাকাজুড়ে স্বচ্ছ পানিতে যেন বাংলার প্রকৃত রূপ ফুটে ওঠেছে। নাচ-গান আর জল-কেলিতে মেতে ওঠেন ভ্রমণকারীরা। উপজেলায় আর বিশেষ কোনো দর্শনীয় স্থান না থাকায় বিনোদনের একমাত্র স্থান হিসেবেই এই বাসুলিয়াকে বেছে নিয়েছেন এ এলাকার মানুষ। শুধু এ এলাকার লোকজন নয়, বিভিন্ন জেলা থেকেও ভ্রমণে আসেন এই বাসুলিয়ায়।

এখানে ঘুরতে আসা আশিক মিয়া বলেন, বাসুলিয়া সুন্দর পর্যটন এলাকা, কিন্তু এ সুন্দর পরিবেশটা নষ্ট করতেছে কিছু খারাপ মানুষ। এখানে প্রশাসনের আরও কঠোর নিরাপত্তা দেওয়া উচিৎ। তাহলে বাসুলিয়া আগের রূপে ফিরে আসবে।

নুপুর আক্তার নামে আরেকজন ভ্রমণকারী বলেন, আমি টাঙ্গাইল থেকে বাসুলিয়া এসেছি আমার পরিবারের সাথে। এখানে এসে অনেক আনন্দ উপভোগ করতে পারলাম। এখানকার পরিবেশ অনেক সুন্দর। চারদিকে থৈ থৈ পানি নৌকায় ঘুরে বেড়ানো আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

স্থানীয় দর্শনার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রত্যেক মানুষ তাদের মনকে আনন্দ দিতে চান। এজন্যই মূলত লোকজন বাসুলিয়া এসে ভিড় জমান। বাসুলিয়ার মনোমুগ্ধকর পরিবেশে এসে কার না ভালো লাগে! প্রকৃতি মানুষকে মুগ্ধ করে দেয়, তাই সবাইকে অনুরোধ রইল, মনের সব দুঃখ-বেদনা মুছে দিতে, মনকে সতেজ করতে আপনিও ঘুরে যেতে পারেন বাসুলিয়া।

লেখক: শিক্ষার্থী, টাঙ্গাইল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট।