ক্যাম্পাস

‘বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে উপস্থাপনের স্বপ্ন পূরণ হলো’

'বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা আমার দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন। তবে ভাবিনি স্বপ্নটি মাত্র ২২ বছর বয়সেই পূরণ হয়ে যাবে!' - এভাবেই এশিয়া ইয়ুথ ইন্টারন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনসে  বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করার উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছিলেন  ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টসের বিবিএ'র শিক্ষার্থী  দীপ্ত চক্রবর্তী।  

এই মাসের ৬ তারিখ থেকে ৮ তারিখ পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে  এশিয়ার ৫১ টি দেশের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। সেখানে বাংলাদেশের হয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন  করেন দীপ্ত চক্রবর্তী।  

সম্মেলনে দীপ্ত চক্রবর্তী বাংলাদেশের পানির টেকসই উন্নয়ন নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।  এই প্রবন্ধে তিনি বাংলাদেশের পানি নিয়ে সমস্যা সমূহ তুলে ধরেন৷  পাশাপাশি সমস্যা সমাধানে নানা পরামর্শ সম্বলিত তার উপস্থাপনাকে সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা স্বাগত জানান। 

এত বড় আয়োজনে অংশগ্রহণ করে নিজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে দীপ্ত বলেন,  'বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ও ভাষার সাথে পরিচিত হতে পেরে নিজেকে খুবই সৌভাগ্যবান মনে হচ্ছে৷ এছাড়া সম্মেলনের শেষদিনে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের মতো ব্যক্তিত্বের বক্তব্য শুনতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্যের ছিলো।'

এছাড়া সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের তরুণ ডেলিগেটদের উপস্থাপন,  গবেষণা , জ্ঞানের বিস্তৃতি দেখে নিজের অভিভূতি প্রকাশ করতে দ্বিধা করেননি দীপ্ত চক্রবর্তী।

তিনি বলেন, সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে আমি বুঝতে পেরেছি, ইন্দোনেশিয়া কিভাবে অল্প সময়ের মধ্যেই উল্লেখযোগ্যভাবে বিকাশ করেছে। আমি দেখেছি  ইন্দোনেশিয়ার তরুণ প্রজন্ম বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মগুলোতে কিভাবে তাদের দক্ষতা প্রদর্শন করছে। আমি এই কনফারেন্সে তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ   দেখে মুগ্ধ। এছাড়া ভারতীয় তরুণদের জ্ঞান, উপস্থাপনা, গবেষণাও তাকে মুগ্ধ করেছে বলে জানান তিনি।'

সম্মেলন থেকে কোনো পুরস্কার না পেলেও দীপ্ত বলেন,  'আমি এই সম্মেলন  থেকে যে মুহুর্তগুলো  পেয়েছি তা কখনো ভুলবার নয়৷ যদিও আমি এই আন্তর্জাতিক সম্মেলন থেকে কোনও পুরষ্কার জিততে পারি নাই। কিন্তু যে অভিজ্ঞতা আমি অর্জন করেছি সেটাই আমার জন্য একটি পুরষ্কার।

ভবিষ্যতেও বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে তুলে ধরার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ' বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে তাদের পছন্দের ক্ষেত্র থেকে আমাদের দেশেকে প্রতিনিধিত্ব করতে এগিয়ে আসতে হবে। আমি জানি, একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করা অনেক কঠিন কাজ। আর এ জন্য আমাদের তরুণ প্রজন্মকে যে পথটি অতিক্রম করতে হবে তা বহু চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ। এক্ষেত্রে মডেল ইউনাইটেড ন্যাশনস ( মান)  হতে পারে তরুণদের জন্য পথপ্রদর্শক।'