ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের (আইসিটি) মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগান্তরের প্রতিনিধি ও রাবি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মানিক রাইহান বাপ্পীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সাংবাদিক সমিতিতে (ডিআইইউসাস) কর্মরত সাংবাদিকরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছেন।
রোববার (১৫ নভেম্বর) সকালে ডিআইইউসাসের দপ্তর ও প্রকাশনা সম্পাদক ফাইজুল হক নোমান স্বাক্ষরিত জরুরি এক প্রেস বিবৃতিতে সাংবাদিক সমিতির পক্ষে এই দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, সংবাদ প্রকাশের জন্য তরুণ প্রতিভাবান সাংবাদিক মানিক রাইহান বাপ্পীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর কারণে আমরা মর্মাহত। ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার অর্ধশত বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাংবাদিককে তার পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য কারাবরণ করতে হলো। যার মাধ্যমে ক্যাম্পাস সাংবাদিকতার ইতিহাসে একটি কালো অধ্যায় রচিত হয়েছে। তার গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই আমরা।
সাংবাদিক নেতারা আরও বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো জায়গায় সাংবাদিকেরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এভাবে হামলা-মামলার শিকার হলে ক্যাম্পাসগুলোতে সাংবাদিকতার পথ আরও সংকুচিত হয়ে যাবে। কাজের পরিবেশ রুদ্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হবে। তাই দ্রুত এই মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি, একই সঙ্গে মুক্ত সাংবাদিকতায় বাঁধাগ্রস্ত করা এই কালো আইন ও মানিক রাইহান বাপ্পীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি। এছাড়াও মামলায় অভিযুক্ত সব সাংবাদিকের অবিলম্বে অব্যাহতির দাবি জানাচ্ছি।
রাবি প্রেসক্লাবের বর্তমান সভাপতি সালমান শাকিল ও দপ্তর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সায়েদ সজল জানান, সোহরাওয়ার্দী হলের সিট বাণ্যিজ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে প্রতিবেদনের জন্য ২০১৫ সালের অক্টোবরে ৫৭ ধারায় তার নামে মামলা করা হয়।
বাপ্পীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, ডুয়েট সাংবাদিক সমিতিসহ দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক নেতাকর্মীরা প্রতিবাদলিপি ও মানববন্ধন করছেন৷
উল্লেখ্য, গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যায় চাপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাংবাদিক মানিক রাইহান বাপ্পীকে। পরে ১৪ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ডিআইইউ/মাহি