ক্যাম্পাস

পাকিস্তানের শিক্ষায় অবদান রেখে স্মরণীয় যে পাদ্রি

দক্ষিণ পাকিস্তানের বন্দর নগরী করাচির এক রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে ক্যাথলিক এক পাদ্রির নামে। শিক্ষায় তাঁর ইতিবাচক অবদানের জন্য সম্মানসূচক এই নামকরণ করা হয়। সম্মানে ভূষিত হওয়া সেই পাদ্রী হলেন সিস্টার বার্চম্যানস কনওয়ে।

ইউনাইটেড ক্যাথোলিক এসোসিয়েশন নিউজ এক সংবাদে এই তথ্য জানিয়েছে। ১৬ নভেম্বর রাস্তা নামকরণের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন করাচীর বিভাগের কমিশনার ইফতিখার শালওয়ানি, আইভরি কোস্টের সম্মানসূচক কনসাল জেনারেল ফজল দাদাভয়, সিস্টার মেরি লাগান এবং অন্যান্য নান, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা।

বার্চম্যানস রোডের উদ্বোধন শেষে তারা বার্চম্যানস রোডের কাগজ সিস্টার লাগানের কাছে তুলে দেন। পাশাপাশি, পাকিস্তানে শিক্ষার অবদানের জন্য সমস্ত নানকে ধন্যবাদ জানান।

করাচির একজন ক্যাথলিক শিক্ষক এবং সামাজিক কর্মী মরিয়ম কাশিফ বলেন, ‘পাকিস্তানে তাঁর আজীবন চাকরীর জন্য সিস্টার বার্চম্যানস এই সম্মানের অধিকারী ছিলেন। তিনি আসলেই আমাদের গর্ব। তার ছাত্রদের মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো, বিরোধী নেতা মরিয়ম নওয়াজ শরীফ, শারমিন ওবায়দ চিনয়, আসমা জাহাঙ্গীর এবং অন্যান্য রাজনৈতিক ও শোবিজের ব্যক্তিত্ব রয়েছেন।’

সিস্টার বার্চম্যানস তার জীবনের প্রায় ৭১ বছর মুসলিম, খ্রিস্টান, পার্সী এবং হিন্দু বাচ্চাদের পড়াতে, লাহোর, মারি এবং করাচিতে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি ১৯৩০ সালে আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫১ সালে লন্ডনের উইলসডেনে জেসস ও মেরির কনভেন্টে যোগ দেন।

২৪ বছর বয়সে পাকিস্তানে পাড়ি জমানোর আগে তিনি মুসলিম জাতির পাঠদানের জন্য তাঁর জীবন উৎসর্গ করার ব্রত নিয়েছিলেন। ২০১২ সালে, তিনি সিতারা-ই-কায়েদ-আজম পুরস্কার পান যা দেশটির অন্যতম শীর্ষ নাগরিক পুরষ্কার।

পুরষ্কারের গায়ে লেখা ছিলো, ‘৫৯ বছর ধরে অবিচলিত আনুগত্য নিয়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। নিজের কাজ সিস্টার একজন কিংবদন্তীর রূপ দিয়েছে।’ জুলাই ২০১৯ সালে, সিস্টার বার্চম্যানস ওয়েস্টমিনস্টার ক্যাথেড্রালে লন্ডনের সেন্ট মেরি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক সম্মানসুচক ‘বেনিডিক্ট’ মডেল পান।