ক্যাম্পাস

অনলাইনে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা

বৈশ্বিক মহামারিতে গত আট মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সরকারি-বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দেশে চলমান সংকটে শিক্ষাব্যবস্থা সচল রাখতে অনলাইনকে বেছে নিয়েছে অনেকেই। তবে, অনলাইন ক্লাস-পরীক্ষায় করেও ঘরে বসে শিক্ষার্থীরা অস্বস্তি বোধ করছেন।

শিক্ষার্থীদের মানসিক প্রশান্তির জন্য ১৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগে আয়োজন করা হয় অনলাইন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। চারটি সেশনে (আবৃত্তি, গল্প বলা, অভিনয় ও শিক্ষকদের পারফরম্যান্স) হয় অনুষ্ঠানটি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, অধ্যাপক তাহমিনা আহমেদ (ডিন, কলা অনুষদ), মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান আকন্দ (সহকারি অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান, ইংরেজি বিভাগ)। এতে বিচারকের ভূমিকা পালন করেন ইংরেজি বিভাগের সিনিয়র লেকচারার রাফিউসসান, কাজী তাহমিনা, সহকারী অধ্যাপক রওশন আরা ও সনিকা ইসলামসহ অনেকেই। 

কাজী তাহমিনা বলেন, ‘আমরা পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমেও অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকি। সারাবছর ধরেই আমরা নানা ধরনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, লিটারেরি আড্ডা, দেওয়াল পত্রিকা ইত্যাদি প্রকাশ করে থাকি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় অনলাইন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।’

ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাজলা ফাতমীর সভাপতিত্বে বিকাল ৪টায় প্রোগ্রামের শেষ অংশ অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও শিক্ষকমণ্ডলীর প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রাণবন্ত ছিল ভার্চুয়াল এই প্রোগ্রমটি।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবুল বাশার খান বলেন, ‘নিজের মধ্যে পারফেকশন আনার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলার কাজের গুরুত্ব অপরিসীম। তাই সবাইকে সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গে জড়িত হয়ে নিজের মেধাটা কাজে লাগাতে হবে।’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন বলেন, ‘শুধু ইংরেজি বিভাগ নয়, প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকবৃন্দ যেন এই ধরনের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা করবো।’ 

বিজয়ী প্রতিযোগীদের নাম ঘোষণা ও পুরস্কার বিতরণীর মাধ্যমে শেষ হয় ব্যতিক্রমী এই অনলাইন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শুধু প্রতিযোগী নয়, অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের জন্যও ছিল সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা। 

অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক তাহমিনা আহমেদ। 

ঢাকা/মাহি