ক্যাম্পাস

হাইকিংয়ে রেকর্ডের দ্বারপ্রান্তে মাসফিকুল

পায়ে হেঁটে দ্রুততম সময়ে পুরো বাংলাদেশ পরিভ্রমণের রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসফিকুল হাসান টনি। ‘হাইকিং ফোর্স বাংলাদেশ’ নামক সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত এই সলো ক্রস কান্ট্রি অভিযানে অংশ নেন তিনি।

গত ৫ নভেম্বর তেতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট থেকে এই পদযাত্রা শুরু করেন মাসফিকুল। ১৯তম দিন আজ, তিনি অবস্থান করছেন কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায়। 

তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় চেষ্টা করি জনকল্যাণমূলক প্রতিপাদ্যকে কেন্দ্র করে পদযাত্রা করতে, যাতে তা সমাজ, মানুষ ও দেশের উপকারে আসে। দেশে শুধু শিক্ষার হার বাড়লেই চলবে না, মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে।’ 

এবারের পদযাত্রারার প্রতিপাদ্য ‘সংশোধনী আইনে ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তির বাস্তবায়ন ও সেক্সুয়াল এডুকেশন।’ 

জানা যায়, এ পর্যন্ত সর্বমোট ১১ জন হাইকার এই অভিযান সম্পন্ন করেছেন। ১২তম ব্যক্তি হিসেবে তিনি সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে সর্বনিম্ন ২০ দিনে অভিযান শেষ করার ও গৌরব অর্জন করতে যাচ্ছেন তিনি। এর আগে ২০১৫ সালে হাইকার শাহাদত হোসেন সর্বনিম্ন ২১ দিনে এই অভিযান শেষ করেন।

মাসফিকুল বলেন, ‘আমি চারটি বিভাগের ১৬টি জেলায় এ পর্যন্ত পা রেখেছি। এ যাত্রায় অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি, অনেকের সঙ্গে জনসংযোগ করেছি, এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। আমার এই পদযাত্রা শেষ হলেও সত্যিকারের হাইকার হওয়ার পদযাত্রা এখনো শেষ হয়নি। এর মধ্য দিয়ে আমি আমার লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যাত্রাকালীন যেমন উন্নয়ন দেখছি, আবার অবহেলাও দেখছি।’

এসময় তিনি দেশের সব অঞ্চলের সড়ক উন্নয়নেরও জোর দাবি জানান। 

উল্লেখ্য, মাসফিকুল হাসান জগন্নাথ বিশ্বদ্যিালয়ের নাট্যকলা বিভাগে পড়াশোনা করছেন। তিনি ২০১৬-১৭ বর্ষের শিক্ষার্থী।

লেখক: শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

জবি/মাহি