ক্যাম্পাস

জাপানে শিক্ষার্থী ভিসা পেতে প্রস্তুতি নেবেন যেভাবে

স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার জন্য যাওয়া যায় জাপানে। স্নাতক পর্যায়ে পড়ালেখার জন্য দেশটির সরকারী বেসরকারী সব বিশ্ববিদ্যালয়েই আর্থিক সহায়তা পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে পর্যাপ্ত বৃত্তির ব্যবস্থা। শিক্ষার মান ও উন্নত প্রাযুক্তিক গবেষণার জন্য এশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য জাপান বেশ আকর্ষণীয়।

জাপানে পড়াশোনা করতে হলে প্রথমেই জানতে হবে জাপানি ভাষা। বাংলাদেশে অনেক জায়গা থেকেই ৬ মাস বা ১ বছর মেয়াদী জাপানি ভাষা শিক্ষার কোর্স করা যায়। ভাষাগত যোগ্যতা প্রমাণের জন্য আন্তর্জাতিক ছাত্র হিসেবে জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ও অংশ গ্রহণ করতে হবে। স্নাতকে ভর্তি হতে হলে বাংলাদেশে এইচএসি বা সমসমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। একইভাবে স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে হলে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করতে হবে।

জাপানে মানব অধ্যয়ন, ভাষাবিজ্ঞান, ইতিহাস, মানব বিজ্ঞান, শিক্ষা, আইন ও সমাজ, পাবলিক আইন ও নীতি, অর্থনীতি, পরিচালনা, হিসাববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান, জ্যোতির্বিজ্ঞান, জিওফিজিক্স, রসায়ন, আর্থ বিজ্ঞান, মেডিকেল সায়েন্স, ফার্মাকোলজি, বি.এসসি বিজ্ঞান, লাইফ সায়েন্স, মেকানিকাল সিস্টেমস এবং ডিজাইন, ন্যানোমেকানিক্স, এয়ারস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং,  কোয়ান্টাম সায়েন্স অ্যান্ড এনার্জি ইঞ্জিনিয়ারিং, বৈদ্যুতিক ও যোগাযোগ প্রকৌশল, ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত রসায়ন, রাসায়নিক প্রকৌশল, বায়োসিলিকুলার ইঞ্জিনিয়ারিং, উপাদান বিজ্ঞান, মিটারিয়ালস প্রসেসিং, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচার অ্যান্ড বিল্ডিং সায়েন্স, ম্যানেজমেন্ট সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, বায়োঞ্জিনিয়ারিং এবং রোবোটিকস, জৈবিক সম্পদ বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান এবং জৈবপ্রযুক্তি, অঞ্চল অধ্যয়ন, আন্তঃসাংস্কৃতিক সম্পর্ক, কম্পিউটার এবং গণিত বিজ্ঞান, সিস্টেম তথ্য বিজ্ঞান এবং শিক্ষাগত তথ্যসহ নানা বিষয়ে অধ্যয়নের জন্য যাওয়া যায়।

জাপানে সাধারণত স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি ডিগ্রি দুই বছর মেয়াদী হয়। স্নাতকের ক্ষেত্রে সেটি চার বছর। তবে মেডিক্যাল সায়েন্সের ডক্টরেট প্রোগ্রাম চার থেকে পাঁচ বছর মেয়াদী হয়ে থাকে।

জাপানের শিক্ষার্থী ভিসায় আবেদনের তথ্য ও আবেদন পত্রের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তি অফিসে যোগাযোগ করা সবচেয়ে ভাল। এছাড়া, হাতের কাছে ইন্টারনেট থাকলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে নেওয়া যায়। 

জাপানে ভর্তি প্রস্তুতি এক বছর আগে থেকে নেওয়া শুরু করার পরামর্শ দেন অনেকেই। জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ছয় থেকে আট মাস আগে ভর্তির বিষয়ে ঘোষণা দিয়ে থাকে। ভর্তির আবেদনের জন্য যথাযথভাবে পূরণকৃত আবেদনপত্রের সঙ্গে সব একাডেমিক সনদের ইংরেজি ভার্সন, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ছাড়পত্র, অর্থ পরিশোধের কাগজপত্র, ভাষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র এবং পাসপোর্টের ফটোকপি সংযুক্ত করতে হয়।

চাইলে ক্রেডিট ট্রান্সফার করেও জাপানে পড়তে যাওয়া যায়। তবে কোর্সের অর্ধেকের বেশী ক্রেডিট স্থানান্তর করা যায় না। ক্রেডিট স্থানান্তর করতে হলে ন্যূনতম ‘বি’ গ্রেড থাকতে হয়।

জাপানের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি এক রকম নয়। জাপানের জাতীয় পর্যায়ের কোন বিশ্ববিদ্যালয়, স্থানীয় পর্যায়ে কোন সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় বা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে খরচ আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। 

জাপানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রচুর বৃত্তি দিয়ে থাকে। এশিয়ান ইয়ুথ ফেলোশিপ, হিউম্যান রিসোর্সেস স্কলারশিপ ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও স্কলারশিপ ফাউন্ডেশন বিদেশী ছাত্রদের বৃত্তি দিয়ে থাকে। জাপান সরকারের ওয়েবসাইট থেকে এসব বৃত্তি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা যায়।