ক্যাম্পাস

জাপানের কিছু অজানা স্কলারশিপ

জাপানে মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার জন্য সুপরিচিত একটি বৃত্তি হচ্ছে জাপান সরকারের দেয়া ‘মেক্সট’ স্কলারশিপ। তবে এর বাইরেও বেশ কিছু স্কলারশিপ আছে। যেগুলো আমরা অনেকেই জানিনা।

জাপানের সরকারি স্কলারশিপ সাধারণত দুই ধরনের। ‘অ্যাম্বাসি রিকোমেনডেড’ স্কলারশিপ ও ‘ইউনিভার্সিটি রিকোমেনডেড’ স্কলারশিপ।

অ্যামবেসি রিকোমেনডেড স্কলারশিপ সংখ্যায় খুব কম। বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের স্কলারশিপ পাতায় চোখ রাখলে এসব স্কলারশিপের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়।

ইউনিভার্সিটি রিকোমেনডেড স্কলারশিপ অ্যামবেসি রিকোমেনডেড স্কলারশিপের তুলনায় সংখ্যায় প্রায় দশ গুন। এই স্কলারশিপের প্রথম শর্ত হচ্ছে অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করা। সাধারণত, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে অধ্যাপকদের ইমেইল আইডি সংগ্রহ করে সরাসরি যোগাযোগ করতে হয়। অধ্যাপক আগ্রহী হলে ইমেইলের উত্তরে আপনার গবেষণার অভিজ্ঞতা, পাবলিকেশন, কেন আপনি এই অধ্যাপক অথবা ল্যাবকে পছন্দ করলেন এসব জানতে চাইবে।

উত্তরগুলো ঠিকঠাক মতো পেলে স্কলারশিপ আবেদন করার জন্য রিসার্চ প্রপোজাল লিখতে বলবে। এটাই মূলত প্রথম ধাপ। দ্বিতীয় ধাপে সাধারণত স্কাইপে ভাইভা হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য নাম নির্ধারণ করে থাকে জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

সরকারি ছাড়াও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য কিছুসংখ্যক স্থানীয় সরকার ও বিভিন্ন ফাউন্ডেশনের স্কলারশিপ বরাদ্দ থাকে। এটির পরিমাণ বিশ্ববিদ্যালয় অনুযায়ী নির্ভর করে। জাপানের প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ ধরনের স্কলারশিপ বেশি থাকে। যেমন, টোকিও ইউনিভার্সিটি, কিয়োটো ইউনিভার্সিটি ও ওসাকা ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।

এসব স্কলারশিপের মধ্যে রোটারি, মিটসুবিশি, প্যানাসোনিক, তোশিবা স্কলারশিপ অন্যতম। এই স্কলারশিপেরও প্রথম শর্ত হচ্ছে অধ্যাপকের সঙ্গে যোগাযোগ করা। যেসব অধ্যাপক ইউনিভার্সিটি রিকোমেনডেড ‘মেক্সট’ স্কলারশিপে শিক্ষার্থী নিতে অপারগতা প্রকাশ করে সেসব অধ্যাপককে উপরিউক্ত স্কলারশিপের জন্য অনুরোধ করা যেতে পারে। এসব স্কলারশিপে বিপুলসংখ্যক চাইনিজ, ভিয়েতনামি ও ইন্দোনেশিয়ান শিক্ষার্থী থাকলেও সঠিক তথ্যের অভাবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই নগণ্য।

কিছু কিছু অধ্যাপক তার নিজস্ব প্রকল্প থেকে বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ প্রদান করে থাকেন।

আল রায়হান স্বর্ণ

লেখক- শিক্ষার্থী, ম্যাটেরিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স, ওসাকা ইউনিভার্সিটি, জাপান।