ক্যাম্পাস

শিক্ষকদের হুমকির ঘটনায় থানায় অভিযোগ

ফেক ই-মেইল থেকে এক শিক্ষার্থী ও তার বাবার পরিচয় ব্যবহার করে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষকদের হুমকি-ধামকি দেওয়ার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এ অভিযোগ জমা দেন সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

এ ঘটনায় এর আগেও গত দুই বছরে নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একাধিক সাধারণ ডায়েরি করেছেন বিভাগটির শিক্ষকরা। সর্বশেষ গত ১২ জানুয়ারি মামলার জন্য কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হয়।

asmaafiacoupharma@gmail.com I advsamadcumilla@gmail.com ই-মেইল থেকে ২০১৯ ও ২০২০ সালের বিভিন্ন সময় এবং ২০২১ সালের ২ ও ৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সৈয়দ কৌশিক আহমেদের ই-মেইলে অরুচিকর ও অশোভনীয় শব্দ ব্যবহার করে এবং বিভাগের শিক্ষকদের ই-মেইলের মাধ্যমে কে বা কারা হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকেও ই-মেইলে একই ধরনের হুমকি দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার প্রধান ও অভিযোগপত্র দায়েরকারী মোহাম্মদ ছাদেক হোসেন মজুমদার বলেন, বিভিন্ন সময় প্রাণ নাশের হুমকি পাওয়ায় আমাদের শিক্ষকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই মামলার জন্য থানায় এজাহার করেছি।

এসব হুমকি ধামকির ঘটনায় নিজেদের জীবন নিয়ে হুমকির মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিভাগটির শিক্ষকরা। বেশ কয়েকবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও হ্যাক করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা। বিভাগটির প্রধান সৈয়দ কৌশিক আহমেদ বলেন, ‘আমরা এবং আমাদের পরিবার রীতিমতো বিব্রতকর ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছি। আমাদের সহকর্মী যারা ঢাকা থেকে নিয়মিত আসা-যাওয়া করেন, তারাও খুব আতঙ্কে রয়েছেন। আমরা গত বছর একটি জিডি করলেও কোনো ফলাফল পাইনি যে কারা এটা করছে।

এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে এবং আমাকে জড়িয়ে কে বা কারা এমন করছে, তা বের করা দরকার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, ঘটনাটি খুবই বিব্রতকর ও একইসঙ্গে ভীতিকর। এ ব্যাপারে মামলা নেওয়ার জন্য আমরা থানায় অভিযোগ করেছি। পুলিশ তদন্ত করে নির্দিষ্ট ধারা অনুযায়ী মামলা দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।