ক্যাম্পাস

শিক্ষক হোক আলোর প্রদীপ

আজ ১৯ জানুয়ারি। জাতীয় শিক্ষক দিবস। শিক্ষাগুরুদের প্রতি আমার অশেষ শ্রদ্ধা ও সম্মান।

শিক্ষক এক মহান তাৎপর্যপূর্ণ শব্দ। তাঁরা সমাজ বিনির্মাণের কারিগর, আলোচিত ব্যক্তি। তাদের মহান কাজের মাধ্যমেই সমাজের পরবর্তী প্রজন্ম সুনাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠে। সুতরাং নীতি বিবর্জিত কোনো ব্যক্তি শিক্ষক হতে পারে না। সুন্দর মনের সুন্দর সুনিপুণ প্রজন্ম গড়ে তোলাই তাদের প্রধান দায়িত্ব।

আমার জীবনেও রয়েছে তেমন কিছু ভালো মনের শিক্ষকের ছোঁয়া। তাদের সান্নিধ্য পেয়ে আমি নিজেকে অনেক বড় মনে করি। আমার স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সব ক্ষেত্রে সফলতার দ্বিতীয় ধাপ হলো আমার শিক্ষাগুরুরা। তাদের দেখানো ও নির্দেশিত পথে আমি সবসময় আমার জীবনকে চালনা করতে চাই, কারণ, তাদের দেখানো পথে চললে আমার জীবনে অনিবার্য সফলতা আসবে ইনশাআল্লাহ।

আমার প্রিয় কিছু শিক্ষকের নামের তালিকা দিতে চাই, যাদের নাম না বললেই নয়। কারণ তাদের সান্নিধ্যে আমি আমার জীবনে এই চূড়ান্ত সাফল্যের শিখরে পৌঁছাতে পেরেছি। আমার স্কুলজীবনের কিছু শিক্ষক রয়েছেন, যেমন শ্রদ্ধেয় মামুন স্যার, প্রিয় মিনারা ম্যাডাম এবং দিল আফরোজ ম্যাডাম। আরো অনেক ম্যাডাম আছেন, তাদের সান্নিধ্যও আমি পেয়েছি এবং নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি।

আমার কলেজ জীবনের প্রায় প্রতিটি স্যার এবং ম্যামই আমার সবচেয়ে প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে তারা আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন এবং অনেক প্রয়োজনীয় উপদেশ দিয়েছেন, এতে আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের গণ্ডিতে পা রাখতে সক্ষম হয়েছি। রেবেকা মিস, তানিয়া মিস এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় মাহফুজুর রহমান স্যারের শিক্ষাদর্শন আমাকে সত্যিই অনেক বেশি অবাক করে বারবারই। বিশ্ববিদ্যালয় হলো শিক্ষা অঙ্গনে সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। এখানে জাতির শ্রেষ্ঠ কারিগরদের সঙ্গে ক্লাস করার সুযোগ আমাকে সত্যিই মোহিত করে। 

এক নজরে যদি শিক্ষক শব্দের অর্থ করি, তাহলে যা দেখতে পাই- শি-শিক্ষণ, শেখানো ক্ষ-ক্ষমাশীল, ক্ষমতাধর ক-কৌতুহলী, কৌশলী

শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যে এক সুসম্পর্ক বিরাজমান থাকে। যে সম্পর্ক হবে সৌহার্দপূর্ণ সহযোগিতা ও দায়িত্বপূর্ণ নির্দেশনাময়। বন্ধুত্বময়, প্রশ্ন উত্তরের চেতনাময়, শৃঙ্খলা অনুশীলনে প্রেরণা, সৃজনশীলতা বৃদ্ধির প্রত্যয় এবং দলগত কাজের চেতনা অর্জনের পাশাপাশি প্রেষণা জাগ্রত করার চেতনাও অন্তর্গত থাকবে। 

ভালো শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব স্বরূপ। তাকে অনুকরণ ও অনুসরণ করে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত জ্ঞান চর্চা করে এগিয়ে যাবে এটাই একান্ত প্রত্যাশা।

একজন ভালো শিক্ষকের পেশাগত দায়িত্ব রয়েছে, সমাজ সংস্কারক হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে এবং সমাজ শাসক হিসেবেও তার কর্তব্য রয়েছে। শিক্ষকতা হলো একটি সামাজিক পেশা। সমাজের উত্তর প্রজন্মকে সমাজের উপযোগী করে গড়ে তোলেন শিক্ষক। এজন্য শিক্ষকতা সমাজের মহান পেশা হিসেবে পরিগণিত। এটি মূলত সেবা নির্ভর একটি পেশা। মানুষ গড়ার পেশা। 

সুনাগরিক তৈরির জন্য অবশ্যই সম্মানজনক। সুনাগরিক সমাজকে বিনির্মাণ করেন। শিক্ষক সমাজে আলো ছড়ান। সমাজ তথা দেশকে সমৃদ্ধি করেন। শিক্ষকতা পেশায় মানুষের বাচ্চা মানুষরূপে প্রতিষ্ঠা পায়। 

সবসময় ভালো থাকুক সবার প্রিয় শিক্ষক, জাতি তৈরির এই মহান কারিগররা। আবারো বিনম্র শ্রদ্ধা তাদের সবার জন্য।

লেখক: শিক্ষার্থী, আইইআর, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।