ক্যাম্পাস

নতুন সভ্যতা

নতুন সভ্যতা

আরো এক পা এগিয়েছি এই বিধ্বস্ত জরাজীর্ণ শহর ছেড়ে যাচ্ছি দূরের ওই অমানিশায় সেগারেটের ছাই মাড়িয়ে।

রূপা, শুভ্রা কিংবা বনলতা ফেলে একমুটো গোধূলির আলো হাতে বিস্তৃত আঁধারের মরু পেড়িয়ে ছুটে চলি মায়ার কারিগর হয়ে।

সেখানে গড়ে উঠবে নতুন সভ্যতা যেখানে রবে না স্থান সক্রেটিস, প্লেটো, রবীন্দ্রনাথ কিংবা গালিবদের রবে না কালের খেয়া আর।

এই নষ্ট শহরের উদ্ভট নিয়মগুলো সেখানে ঠাঁই পাবে না কখনোই এক সভ্য মহাকাল গড়ে তুলতে ছুটে চলা, অজ্ঞাতনামা এ পথিকের।

ঠুনকো যত কাব্যিক ছায়া/মায়া অথবা গদ্যের কঠোরতা কল্পনার সব জঞ্জাল ছুঁড়ে শূন্য হবে মানচিত্রের ভাগাড়। 

এইতো ছুটে চলা নামহীন পথিকের নেই কোনো সহযাত্রী, হয়তো আছে সেও/তারাও হয়তো অজ্ঞাতনামা  পরিচয় হয়নি তাদের সঙ্গে পথিকের। 

এখানে ফেলে যাওয়া প্রিয়মুখ/অশ্রু  ব্যথা যত অব্যক্ত অনুভূতির  পড়ে থাক এবেলা এ শহরের কোণে পথিক ছুটে চলে, সঙ্গী শুধু জোনাকির আলো।