ক্যাম্পাস

প্রিয় ক্যাম্পাসে কিছু সময়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস

মানুষের জীবন কতই না অদ্ভুত! আজকের দিনটা আগামী দিনের স্মৃতি। আর এই স্মৃতি হলো মানুষের দৈনন্দিন জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু স্মরণীয় মুহূর্ত। এই স্মরণীয় মুহূর্তের অন্যতম অধ্যায় হলো ক্যাম্পাস জীবন। 

ক্যাম্পাস জীবনের মতো রঙিন আর সুন্দর সময় নাকি একজন শিক্ষার্থীর জীবনে আসে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস জীবন শেষ করে প্রত্যেক শিক্ষার্থী কর্মজীবনে প্রবেশ করে। তখন যান্ত্রিক কর্ম ব্যস্ততায় ক্যাম্পাসে আড্ডা, বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, চায়ের দোকানে আড্ডা এসব কিছু এক অলীক কল্পনায় ভাসে। 

বিশ্বব্যাপী মহামারির জন্য এই অলীক কল্পনা কেমন হবে, তা উপলব্ধি করতে শিখিয়ে গেছে। প্রায় এক বছর হয়ে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। বদ্ধ ঘরে একাকিত্ব জীবন, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয় না, গল্প হয় না, আড্ডা হয় না, এ যেন অভিশাপে পরিণত হয়েছে। 

কয়েক দিন ধরে ক্যাম্পাসে যেতে চেয়েও যেতে পারিনি কিন্তু গত মঙ্গলবার বিকালে গিয়েছিলাম আমার চিরচেনা সেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। সেখানে গিয়ে দেখি শুধু আমি না, আমার আরো কয়েক সহপাঠী এসেছে। মুহূর্তের মধ্যে মনটা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেলো, কত দিন পরে দেখা!

আমরা সবাই কুশল বিনিময় করে আইন চত্বরে বসলাম। তারপর শুরু হলো খোশগল্প। কত যে কথা, বন্ধুরা তাদের জমানো সব কথা শেয়ার করলো, মহামারিতে সবার সময় কীভাবে গেলো। এরপর সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি জায়গায় নিজেদের পদধূলি দিলাম। গান, গল্প, হাসি-ঠাট্টায় উপভোগ করলাম সুন্দর একটি বিকাল। 

বন্ধু হলো প্রত্যেক মানুষের শ্রেষ্ঠ উপহার। বন্ধু ছাড়া জীবনটা অসম্পূর্ণ। পৃথিবী স্বাভাবিক হবে, বন্ধুদের সঙ্গে গান-গল্পে সুন্দর বিকেল উপভোগ করবো, ক্লাস, আসাইনমেন্ট শেষে চায়ের দোকানে আড্ডা দেবো, ক্লাসের বন্ধুদের দেখা পাবো, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি জায়গা মানুষের পদচিহ্ন ভরে যাবে, এমন একটি সুদিনের স্বপ্ন শুধু আমি না হাজারো শিক্ষার্থীর চোখে ভাসছে। 

লেখক: শিক্ষার্থী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।