ক্যাম্পাস

রাবিতে ডিএনএ দিবস উপলক্ষে ওয়েবিনার 

২৫ এপ্রিল বিশ্ব ডিএনএ দিবস। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব ৬ষ্ঠ বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছে এই দিবসটি। 

বুধবার (২১ এপ্রিল) রাবি সায়েন্স ক্লাব বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।  

বিজ্ঞান চর্চার প্রাথমিক যুগের সূচনা ঘটেছিল গণিত চর্চার মধ্য দিয়ে। মধ্যযুগে তা পদার্থবিদ্যার বিকাশে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখে। ধীরে ধীরে নিউটন, গ্যালিলিও, আইনস্টাইন, বোরের তত্ত্ব একে আধুনিক যুগে নিয়ে আসে। কিন্তু, ১৯২০ এর আবিষ্কারের ধারা কিছুটা স্তিমিত হয়ে পড়ে। তখন, বিজ্ঞানীরা ঝুঁকতে থাকে পরিবেশ, পৃথিবী, মানুষ, জীবজগৎ নিয়ে গবেষণার দিকে। বর্তমানে একবিংশ শতাব্দীকে তাই নিঃসন্দেহে বলা হচ্ছে The Century of Biological Science । এর কারণ ১৯৭২ সালে পল বার্গের রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনোলজি বা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আবিষ্কার।

বিজ্ঞানী ম্যাক্স ফার্দিনান্দ পেরুৎজ-এর দুই সহকারী। ক্রিক এবং তার বন্ধু জেমস ডিউই ওয়াটসন। ৬৮ বছর আগে, ১৯৫৩ সালের ২৫ এপ্রিল, গবেষণায় তাদের যুগলবন্দি জীববিদ্যাকে উপহার দিয়েছিল এক অত্যাশ্চর্য জ্ঞান। যে কোনো প্রাণীর, তা সে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ব্যাকটেরিয়া কিংবা প্রকাণ্ড তিমিমাছ যা-ই হোক না কেন— জন্ম, জীবনধারণ এবং মৃত্যুর মূলে দায়ী রাসায়নিক পদার্থটি দেখতে কেমন, তা বলে দিয়েছিলেন তারা।

বিজ্ঞানে এই ডিএনএ আবিস্কারের অবদান তুলে ধরতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতিবছরই অনেক উৎসবমুখর পরিবেশে দিবসটি পালন করে আসছে। তবে এ বছর সারাদেশে করোনা মহামারির কারণে লকডাউন থাকায় ভার্চুয়ালি দিবসটি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সায়েন্স ক্লাব।

ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে কি-নোট স্পিকার হিসেবে থাকবেন ড. ফেরদৌসী কাদরী। স্পিকার হিসাবে থাকবেন রাবির প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. খালিদ হোসাইন। প্রধান অতিথি থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সালেহীন কাদরি। 

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবেন রাবি সায়েন্স ক্লাবের সভাপতি মাহদী হাসান এবং সঞ্চালনা করবেন সাধারণ সম্পাদক মো. ইসতেহার আলী।

মাহদী হাসান বলেন, ‘যে কোনো জীবের জীবন থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সব কার্যক্রমই নিয়ন্ত্রিত হয় তার জিনোম বা কিছু ক্রোমোজোম বা অনেকগুলো জিনের দ্বারা। আবিষ্কারের পর থেকেই বিজ্ঞান, দর্শন এবং কলা ইত্যাদি সব ক্ষেত্রকে সমানভাবে আলোড়িত করেছে ডিএনএ। জীবনের নানা ক্ষেত্রকে এমন বহুমুখী সমৃদ্ধি দেওয়ার ক্ষেত্রে এককভাবে এত বড় ভূমিকা রাখতে পারেনি আর কোনো অণু। একের পর এক বিস্ময়কর আবিষ্কার সংঘটিত হয়েছে ডিএনএকে ঘিরে।’