ক্যাম্পাস

চাকরি করা হলো না শাহাদাতের

মাওয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক ছাত্র ছিলেন। 

দুর্ঘটনায় নিহত শাহাদাত হোসেন মোল্লার (২৯) বাড়ি মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার নিয়ামতকান্দী গ্রামে।

সোমবার (৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, শিমুলিয়া থেকে সোমবার সকাল পৌনে ৭টায় স্পিডবোটটি ছেড়ে আসে। এসময় কাঁঠালবাড়ীর পুরাতন ঘাটে থেমে থাকা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায় স্পিডবোটটি। এসময় সব যাত্রী পানিতে পড়ে যান। পরে নদী থেকে একে একে ২৬টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স শেষ করা নিহত শাহাদাত হোসেন মোল্লাও।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, আদম আলী মোল্লা ও রিজিয়া বেগম দম্পতির ছয় ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন শাহাদাত। তিনি এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন।

শাহাদাত হোসেন মোল্লার চাচাতো ভাই সাবেক মেম্বার দাদন মোল্লা বলেন, ‘এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন শাহাদাত। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ঢাকা যান। ইন্টারভিউ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। চাকরি করা হলো না শাহাদাতের। লাশ হয়ে তাকে ফিরতে হলো। লকডাউনের ভেতর ঢাকা যেতে না করেছিলাম। তবুও গেছে। ইন্টারভিউ শেষে বাড়ি ফিরতে পারেনি শাহাদাত।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেনের সঙ্গে ফোনালাপে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ লাশ হস্তান্তর করার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।’

তার মৃত্যুতে সহপাঠী ও সজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।