ক্যাম্পাস

‘ব্ল্যাক হিরো’ খ্যাত একজন আরিফের গল্প 

ভালো স্বপ্ন থেমে থাকে না কখনোই। মাথা চাড়া দিয়ে উঠেই। তেমনি উদ্যোমী আরিফ জয় করেছেন স্বপ্ন। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের ব্ল্যাকরাইসসহ কয়েক জাতের হাইব্রিড ধান চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন ‘ব্ল্যাক হিরো’ কলেজ শিক্ষার্থী আরিফ হোসাইন। 

তিনি কুমিল্লা অজিতগুহ কলেজের অনার্স (বাংলা) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। আরিফের বাবা মো. রকিবউদ্দিন। তিনিও নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা ইউনিয়নের করপাতি গ্রামের একজন কৃষক। 

আরিফ এক একর জমিতে ব্ল্যাকরাইসসহ ৩০ শতাংশ জমিতে বেগুনি ও ৩০ শতাংশ জমিতে লাল চালের ধান চাষাবাদ করে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। পাশাপাশি তিনি তিন একর জমিতে হাইব্রিড জাতের ইরি-বোরো ধানের আবাদও করেছেন। তার এক একরে ২০ মণ ব্ল্যাকরাইস উৎপাদন হয়েছে। এলাকায় তাকে এখন ‘ব্ল্যাক হিরো’ হিসেবে সবাই তাকে চেনেন।  

আরিফ বলেন, ‘বাংলাদেশে এক কেজি ব্ল্যাকরাইসের বাজার দর ২০০-২২০ টাকা এবং দেশের বাইরে ২৫০-৩০০ টাকা কেজি। আমাদের উপজেলায় আমিই প্রথমবারের মতো এ ধানের চাষ করেছি। কৃষি বিভাগ যেকোনো প্রয়োজনে আমার পাশে থাকবে বলেও জানিয়েছে।’

গত বছর লকডাউনে ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স ফোরামের (ভিই) প্রতিষ্ঠাতা কাজী আপন তিবরানীর (প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগ, ভিক্টারিয়া সরকারি কলেজ) সহায়তায় আরিফ কৃষি অধিদপ্তর থেকে এসব বীজ সংগ্রহ করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি ফেসবুক ভিত্তিক এই গ্রুপে ব্ল্যাক রাইসসহ লাল চাল, লাল চিনি সরিষার তেল, মধু, হ্যাচিং এবং নিরাপদ খাদ্যপণ্য নিয়ে নিয়মিত প্রচার-প্রচারণা চালান। এ পর্যন্ত আরিফের মোট তিন লাখের কাছাকাছি বিক্রি হয়েছে। 

আরিফের এ সাফল্য পুরো দেশের। কৃষি প্রধান এ দেশে তার কাজ দেখে অনেক তরুণ নতুন করে কৃষি কাজে উদ্বুদ্ধ হবে, দেশের কৃষি এগিয়ে যাবে, এমনটি প্রত্যাশা করেন তিনি। 

লেখক: প্রভাষক, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ, জুরানপুর আদর্শ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, দাউদকান্দি।