ক্যাম্পাস

‘আমি সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই’

হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বাঁচার আকুতি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের দিকে তাকিয়ে আছেন ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত মারুফ আহমেদ। তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল হেমাটোলজি ও বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কর্নেল মোস্তাফিল করিমের তত্ত্বাবধানে রাজধানীর সিরাজ খালেদা মেমোরিয়াল ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মারুফের গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার কাজিপুর উপজেলার চর ভানুডাঙ্গা গ্রামে। মারুফের বাবা-মা উভয়ই গার্মেন্টস কর্মী। মারুফ গান্ধাইল রতনকান্দি ইউনিয়ন আলী আহমেদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করে। পরে বগুড়ার নর্থ বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা পাস করেন। বর্তমানে তিনি ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

একান্ত আলাপচারিতায় মারুফ বলেন, ডিপ্লোমা শেষে পরিবারের আর্থিক অসচ্ছলতা দূর করতে চাকরি করলেও তা আর সম্ভব হয়নি। চাকরির শুরুর কিছু দিন পরেই গত বছরের ১৫ অক্টোবর প্রথম ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পারি। তারপর থেকেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। সবার সহযোগিতা চাই।

দীর্ঘ দিন ব্লাড ক্যান্সারের Choronic Myeloid Leukaemia (CML) স্টেজে আক্রান্ত থাকার পর তা পরিবর্তিত হয়ে Acute Myeloblastic Leukaemia (AML) হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট প্রতিস্থাপন ও উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। অন্যথায়, তার জীবন নাশের আশঙ্কা রয়েছে।

মারুফের শারীরিক অবস্থা দিন দিন আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে HLA typing ম্যাচিং না হওয়ায় বাংলাদেশে চিকিৎসা সম্ভব হচ্ছে না। ভারতে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট, ডোনার এবং কেমো দিতে প্রায় ৪০-৫০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু অর্থাভাবে তার পরিবারের পক্ষে আর চিকিৎসা ব্যয় চালানো সম্ভব হচ্ছে না।

মারুফের চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কর্নেল মোস্তাফিল করিম বলেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে HLA typing ম্যাচিং হলে বাংলাদেশেও চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব ছিল। যেহেতু ম্যাচিং হয়নি, তাই ভারত কিংবা সিঙ্গাপুর গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। যা অত্যন্ত ব্যয় সাপেক্ষ। বিত্তবানদের সহযোগিতা পেলে মারুফ দেশের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে পারবে।

মারুফের বাবা সেলিম মন্ডল বলেন, মারুফের চিকিৎসার জন্য আকিজ গ্রুপসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে ৭ লাখ টাকা পেয়েছি। আর জমি বিক্রি করে পেয়েছি ৮ লাখ টাকা। তারপরেও চিকিৎসা করাতে গিয়ে ইতোমধ্যে অনেক টাকা ঋণ হয়ে গেছি। এখন ছেলের উন্নত চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা প্রয়োজন।

মারুফ আরও বলেন, আমি সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই। মা-বাবাকে সাহায্য করতে চাই। পরিবারের পক্ষে আমার উন্নত চিকিৎসার ব্যয় বহন করা সম্ভব নয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমার চিকিৎসার জন্য সাহায্য প্রার্থনা করছি। সমাজের বিত্তবানদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সহায়তা আমাকে সুস্থ করে তুলতে পারে।

মারুফ আহমেদের চিকিৎসার সাহায্য দিতে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে ০১৭৪০-১১২৬৮৪ নম্বরে। সাহায্য পাঠানো যাবে-মো. মারুফ আহমেদ, ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড, পল্লবী ব্রাঞ্চ, মিরপুর। হিসাব নং- ২১১-১৫২-০০০৬২২৩ অথবা ০১৯৬১-২৯৭৯৩০ (বিকাশ পারসোনাল) ও ০১৭৪০-১১২৬৮৪-৬ (রকেট পারসোনাল)।