ক্যাম্পাস

হল নাকি মেস, দোটানায় জবি ছাত্রীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সব বিভাগ বা ইনস্টিটিউট ৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে পরীক্ষা নিতে পারবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার ঘোষণা আসায় দীর্ঘ ১৮ মাস পর ক্যাম্পাসে ফিরছেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ দিন বাড়িতে অবস্থান করায় নতুন করে মেস বা বাসা নিতে হচ্ছে তাদের। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই যেন ছাত্রীরা উঠতে পারেন সেজন্য নীতিমালা প্রস্তুত হলেও শুরু হয়নি সিট বণ্টন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগেই যদি হল দিয়ে থাকে, তাহলে তা তাড়াতাড়ি দিয়ে দিলেই হয়। এই সময়ে ঢাকায় বাসা নিয়ে কয়েকদিন পর হল পেলে বাসা ছেড়ে হলে উঠতে হবে। অযথা তাহলে আর বাসা ভাড়ার খরচ দিতে হয় না।

এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আনতাজ হেনা আখি বলেন, দেড় বছর পর ঢাকায় ফিরতেছি। গিয়ে নতুন বাসা নেওয়া লাগবে। আবার শুনতেছি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগেই হলে উঠতে হবে। আমি যদি হল পাই, তাহলে সেটা আগে জানতে পারলে বাসা ভাড়া নেওয়ার খরচটা বেঁচে যায়।

সমাজকর্ম বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী উম্মে ইফ্ফাত ফিয়া বলেন, হল পাবো কিনা জানি না। তবে কারা হল পাচ্ছেন আগেই জানালে তাদের আর বাসা নিতে হয় না। আমি হল পাবো না জানতে পারলেও নিশ্চিন্তে বাসা নিতে পারি। কিন্তু মাঝেমধ্যে মনে হয় যদি হল পাই, তাহলে বাসা ভাড়া নেওয়াটা তো লস।

এ ব্যাপারে ছাত্রী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামীমা বেগম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়তো এখনই খুলতেছে না। এখন শুধু পরীক্ষা হবে। ভিসি স্যার বলছেন, ইউনিভার্সিটি যখন খুলবে, ছাত্রছাত্রীরা যখন আসবে, তখন ছাত্রীরা সরাসরি হলে আসবে। এখন তো টোটালি ইউনিভার্সিটি খুলে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু পরীক্ষা দিতে আসবে।

তিনি আরও বলেন, হলের আবেদন এ সপ্তাহেই অনলাইনে চলে যাবে। সিন্ডিকেটে হলের নীতিমালা পাস হলেও কিছু কারেকশন ছিল, সেটা স্যারের অনুমোদন লাগে আবার। এটা অনুমোদন হলে শুরু হবে।

কারা সিট পাবেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, মেধা এবং বাসা-বাড়ির দূরত্বের ভিত্তিতে সিট পাবেন। যার বাড়ি যত দূরে, তার সিট পাওয়ার চান্স বেশি। তবে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা বেশি সিট পাবেন। তারপর চতুর্থ বর্ষ, তৃতীয় বর্ষ এভাবে ক্রমান্বয়ে সিট পাওয়ার হার কমবে।

উল্লেখ্য, দেশের একমাত্র অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তকমা ঘুচিয়ে গত ২০ অক্টোবর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হলের উদ্বোধন করা হয়। ১৬ তলা বিশিষ্ট হলটির ১৫৬টি কক্ষে চারজন করে মোট ৬২৪ জন ছাত্রী থাকতে পারবেন।