ক্যাম্পাস

জবিতে গবেষণায় বরাদ্দ দিতে প্রকল্প প্রস্তাবনার আহ্বান

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২১-২০২২ সেশনের গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ দিতে প্রকল্প প্রস্তাবনা আহ্বান করা হয়েছে। তবে এ বরাদ্দ শুধু শিক্ষকদের জন্য।

বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এতথ্য জানা যায়। এর আগে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. পরিমল বালা স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবাসাইটে প্রকাশিত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজস্ব অর্থায়নে গবেষণা প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগ্রহী গবেষকদের আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ২ সেট প্রকল্প প্রস্তাবনা (এক কপি নাম বিহীন) জমা দেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরােধ করা যাচ্ছে।

দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও সরাসরি প্রায়ােগিক বিষয়গুলোর সাথে সম্পর্কিত প্রকল্পগুলো অর্থায়নের জন্য বিশেষভাবে বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে যৌথ প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, ইতােমধ্যে যারা ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রকল্প পেয়ে এখনো রিপাের্ট জমা দেয়নি, রিপাের্ট জমা দেওয়া সাপেক্ষে তারাও প্রকল্প প্রস্তাবনা জমা দিতে পারবে। প্রকল্প প্রস্তাবনার প্রোফর্মা সংযুক্ত করে দিতে হবে। এছাড়াও প্রোফর্মার সফটকপি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

এছাড়াও বলা হয়েছে, প্রকল্প প্রস্তাবনার সাথে পৃথক পাতায় একটি বাজেট পেশ করতে হবে। একক প্রস্তাবনার সর্বোচ্চ বাজেট ২ লাখ টাকা। তবে যৌথ প্রকল্পের ক্ষেত্রে (শুধুমাত্র বিজ্ঞান ও লাইফ এন্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদের জন্য) বাজেট ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারবে। সরাসরি প্রায়ােগিক বিষয়গুলোর সাথে সম্পর্কিত প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধি করা যেতে পারে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পরিচালক অধ্যাপক ড. পরিমল বালা বলেন, গবেষণার মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় পরিচয়টা হয়। গবেষণার মান যে বিশ্ববিদ্যালয়ের যত ভালো হয়, সে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামও বাড়ে এবং সামনের দিকে এগিয়েও যায়। গবেষণার মান বৃদ্ধির জন্য রিসার্চ ফ্যাসিলিটি থাকতে হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ ফ্যাসিলিটি ডেভেলপ করতে হবে। চিন্তাভাবনা চলছে একটি সেন্ট্রাল রিসার্চ ল্যাবরেটরি তৈরি করা।

তিনি আরও বলেন, গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে যে বিষয়টি হয়, সেটি হচ্ছে অনেক শিক্ষকই তাদের গবেষণাটি সম্পন্ন করতে গিয়ে একটি ফান্ড ক্রাইসিসের মধ্যে পড়ে। অনেক সময় গবেষণার কাজ পরিচালনার জন্য কিছু যন্ত্রপাতি কেনা লাগে। আবার বিজ্ঞান গবেষণায় অনেক সময় অনেক জায়গায় স্টাডিও করা লাগে। সেক্ষেত্রে একটা আলাদা খরচ আছে। সব মিলিয়ে একটা সংকট সৃষ্টি হয়। এ বছর গবেষণায় বাজেট বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে এই সমস্যাটা অনেকটা কমে যাবে এবং মান আরও ভালো হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল মাত্র ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে গবেষণা খাতে বরাদ্দ ছিল ২ কোটি টাকা। সবশেষ ২০২১-২২ অর্থবছরে গবেষণা খাতে সর্বোচ্চ ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।