ক্যাম্পাস

শিক্ষা-গবেষণার উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান করা হচ্ছে: বেরোবি উপাচার্য

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ বলেন, ‌‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রতিষ্ঠার ১৩ বছরে নানাবিধ সীমাবদ্ধতায় হয়তো কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব হয়নি। তবে সমস্যা যাই থাকুক নিয়মের ভেতরে থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা-গবেষণা ও ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান করা হচ্ছে।’ 

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ। তাদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে বৈশ্বিক মহামারিতেও অনলাইনে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষাসহ সব ধরনের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সব ক্লাস-পরীক্ষা অনলাইনে গ্রহণ করা হয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রমের এ ধারা অব্যাহত রেখে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহায়তায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেশনজটমুক্ত হবে এ বিশ্ববিদ্যালয়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চললেও যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া হবে। আবাসিক হল খুলে দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রসরমান বিশ্বের সাথে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণে অবদান রাখবে এই বিশ্ববিদ্যালয়।’

উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনার সভাপতিত্বে সভায় মূল আলোচক ছিলেন কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবু ছালেহ মোহাম্মদ ওয়াদুদুর রহমান (তুহিন ওয়াদুদ) এবং স্বাগত বক্তব্য দেন প্রক্টর গোলাম রব্বানী। বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও ছাত্রনেতারা আলোচনায় অংশ নেন।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের ১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। সকাল ১০টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সূচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ।