ক্যাম্পাস

বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাকৃবির ৫০ শিক্ষক

বিশ্বেসেরা গবেষকদের তালিকায় মর্যাদাপূর্ণ স্থান লাভ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষকরা। বিশ্বের প্রায় ১৩ হাজার ৫৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ লাখ ৮ হাজার ৪৮০ জন বিজ্ঞানী ও গবেষকের মধ্যে বাকৃবির ৫০ জন শিক্ষক স্থান পেয়েছেন।

সম্প্রতি এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্স নামে আন্তর্জাতিক গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় র্যাংকিং প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান এ তালিকা প্রকাশ করে। এ বছর বিশ্বের সেরা গবেষকদের এই তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের ১৭৮৮ জন গবেষক।

বাকৃবির ৫০ জন শিক্ষকের মধ্য থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম-১ সব ধরনের ক্যাটাগরিতে বাকৃবিতে ১ম এবং দেশে ১৫তম স্থান লাভ করেছেন।

জানা যায়, বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম-১ ছাড়াও আরও ৪৯ জন শিক্ষক-গবেষক এই র্যাংকিং তালিকায় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্থান লাভ করেছেন। এরা হলেন ড. এম. জি. মোস্তফা আমনি, ড. তাজউদ্দিন, ড. আক্তারুজ্জামান খান, ড. চয়ন কুমার সাহা, ড. রফিকুল ইসলাম-২, ড. আক্তারুজ্জামান খান, ড. আনিছুর রহমান, ড. জুয়েল আলম, ড. রফিকুল ইসলাম, ড. মুক্তা খান, ড. রাশেদুল ইসলাম, ড. জাহিরউদ্দিন, ড. আরিফুল ইসলাম, ড. আনোয়ার হোসাইন, ড. রমিজ উদ্দিন, ড. আব্দুর রহমান সরকার, ড. জোর্য়াদ্দার ফারুক আহমদে।

অন্যদের মধ্যে রয়েছেন ড. আশরাফুজ্জামান, ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, ড. মোস্তফা আলি রেজা হোসাইন, ড. রমিজ উদ্দিন, ড. শাহজাহান, ড. গোলাম শাহী আলম, ড. শামসুল আলম, ড. আমানুল হক, ড. মশিউর রহমান, ড. তাহমিদ হোসাইন খান, ড. এম. এ. রহিম, ড. এস. এম. লুৎফুল কবির, ড. বাহানুর রহমান, ড. এস. এম. ই. রহমান, ড. ইমদাদুল হক চৌধুরী, ড. কাজী রফিক, ড. মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ড. সালেহা খান, ড. তানভির রহমান, ড. মাহফুজা বেগম, ড. তাওহিদুল ইসলাম, ড. আব্দুল আলিম, ড. এস. ডি চৌধুরী, ড. মোহাম্মদ মোশাররাফ উদ্দিন ভূঁইয়্যা, ড. এ. কে এম. আনিসুর রহমান, ড. এম. এ. হাশমি, ড. আলমগীর হোসনে, ড. মোখলেসুর রহমান, ড. এম. এ. মজিদ, ড. আজহারুল হক, ড. শহিদুল হক এবং ড. কে. এইচ. এম. নাজমুল হোসেন নাজির।  পাশাপাশি তালিকাভুক্ত বাকৃবি সব শিক্ষক-গবেষকই বাংলাদেশের শিক্ষকদের তালিকায় প্রথম ১৫০ জনের মধ্যে অবস্থান করছেন।

শিক্ষকদের এ সাফল্যে বাকৃবি উপাচার্য অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘এ সাফল্য আমাদের বাকৃবি পরিবারের জন্য সত্যিই অনেক আনন্দের। এ সব গবেষকদের গবেষণার কারণেই আমরা এবছর বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় স্থান লাভ করতে সক্ষম হয়েছি। এই অর্জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণায় আরও অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে। এই গবেষকদের হাত ধরেই বাংলাদেশের কৃষি আরও সমৃদ্ধ হবে এবং অচিরেই আমরা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সক্ষম হবো বলে আশা করছি।’