বেহাল সড়কের সংস্কার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সমস্যা নিরসনের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকালে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত সড়ক সংস্কার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন সমস্যা নিরসনের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। পরে প্রশাসনকে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
জানা যায়, পরিবহনে দুর্ভোগ নিরসনে ছয় দফা দাবি নিয়ে সকাল ১০টায় শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু করেন। দুপুর ২টা পর্যন্ত ৫০০ শিক্ষার্থী এতে স্বাক্ষর করেন।
তাদের অন্য দাবিগুলো হচ্ছে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ রুটে চলাচলকারী ক্যাম্পাসের নিজস্ব ও ভাড়ায় চালিত গাড়িগুলোর যথাযথ ফিটনেস সনদ, চালকের লাইসেন্স ও হেল্পার নিশ্চিত করা, গাড়িগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত স্টিকার ও নির্দিষ্ট রুটপ্ল্যান দেওয়া, ক্যাম্পাসের বাসে বহিরাগতদের উঠানো বন্ধ করা, ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করা এবং যাতায়াতের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভাড়া আদায়, অসৌজন্যমূলক আচরণ বন্ধ করা।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বিষয়গুলো নিয়ে আমরা কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন ও বাস মালিক সমিতির সাথে বসবো। এছাড়া, প্রতিটি গাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো সম্বলিত স্টিকার লাগানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর একই বিষয়ে ৯ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে স্মারকলিপি দেয় শাখা ছাত্র মৈত্রী। পরে ২১ অক্টোবর ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে সংগঠনটি। ২৩ অক্টোবর ৬ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নও। এ ছাড়াও গত ২০ অক্টোবর সন্ধ্যায় ২ ঘণ্টা কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে সড়কটির সংস্কারের দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
সড়ক সংস্কারের বিষয়ে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কটির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। তবে বর্ষাকাল থাকায় মাঝে কিছুদিন আমরা কাজ করতে পারিনি। এখন আবারও কাজ শুরু হয়েছে। আশা করি আগামী দেড় মাসের মধ্যে সড়কটির সংস্কার কাজ শেষ হবে।’