বৃত্তি ও মেধাবৃত্তি খাতে প্রতি বছর বরাদ্ধ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের অভাবে সেই অর্থপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। এ খাতে বরাদ্দ থাকার পরও অর্থ না দেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব শাখার উপ-পরিচালক নাছির উদ্দীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে বৃত্তি/মেধাবৃত্তি খাতে ৩ লাখ টাকা বরাদ্ধ রয়েছে। বিগত অর্থবছরে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ ছিল।’
তবে, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ বরাদ্দ থাকলেও প্রশাসনের সদিচ্ছার অভাবে শিক্ষার্থীরা এ অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গত অর্থবছরেও এ খাত থেকে কোনো শিক্ষার্থী বৃত্তি পায়নি। লোকপ্রশাসন বিভাগের স্নাতকত্তোরের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘করোনাকালীন এ সময় এই ধরনের বৃত্তি আমাদের প্রয়োজন ছিল। শিক্ষার্থীদের না দিয়ে অর্থ ফেরত দেওয়া কাম্য নয়। একটি নীতিমালা করে এ বৃত্তির অর্থ দ্রুতই দেওয়া উচিৎ।’
আইন বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেধাবৃত্তির টাকা ফেরত চলে যাওয়া মেনে নেওয়ার মতো না। প্রত্যেক বছর মেধা বৃত্তির যে বরাদ্দ থাকে, আমাদের দাবি সে টাকা রেজাল্ট কিংবা অনার্সের সিজিপিএ বিবেচনায় নিয়ে দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বণ্টন করা হোক।’
লোক প্রশাসন বিভাগের স্নাতকত্তোরের শিক্ষার্থী অনিক বলেন, ‘করোনার এ সময়ে অর্থনৈতিক সংকট কাটাতে বৃত্তি, মেধাবৃত্তি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তাই কোনোভাবেই যেন এই মেধাবৃত্তির টাকা ফেরত না যায় প্রশাসনকে সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ খাতে আমাদের বাজেটে অর্থ বরাদ্দ রয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন আসলে আমরা এ খাতের অর্থ ছাড়ের জন্য সুপারিশ করবো।’
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি দেখছি।’