ক্যাম্পাস

শাবিপ্রবির দাবি আদায়ে পাবিপ্রবি শিক্ষার্থীর একক অনশন

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) অনশনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি  বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী অনশনে বসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের ৪র্থ বর্ষের একজন শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরের পাদদেশে আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনশন করেছেন তিনি।

অনশন করা শিক্ষার্থী নাম আবু বকর সিদ্দিক শামছুল। তিনি বলেন, ‘শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর নির্মম পুলিশী হামলা এবং গুলি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমাকে হতবাক করেছে। শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক ইস্যুতে সংহতি জানানো এবং পাশে দাঁড়ানো একটি আমাদের কর্তব্য। এই প্রতীকি অনশন করার মাধ্যমে শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিতে পাশে আছি।’এসময় শাবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগও দাবি করেন তিনি।

১৩ জানুয়ারি রাত থেকে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন ছাত্রীরা। এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ছাত্ররাও এতে অংশ নেন। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ। তখন ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। পরের দিন ভিসি আইসিটি ভবনে গেলে তাকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পুলিশ গিয়ে অবরুদ্ধ ভিসিকে উদ্ধার করে। এসময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর ভিসির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। আমরণ অনশনে বসেন ২৩ শিক্ষার্থী। পরে তাদের সাথে আরও ৫ শিক্ষার্থী যোগ দেন।

অনশনে অংশ নেওয়া ২০ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে হাসপাতালে আছেন। বাকী ৯ জন ভিসির বাসার সামনে অনশনস্থলে আছেন বলে আন্দোলনকারীরা নিশ্চিত করেছেন। 

শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে দেশের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নানা কর্মসূচি পালন করেছেন। আলাদা করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষকও। শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতিও দ্রুত এ অচল অবস্থার অবসান চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।

আবু বকর সিদ্দিক শামছুল আরও বলেন, ‘দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজনে অনশন চালিয়ে যাবো পরবর্তী সময়ে।’