ক্যাম্পাস

জবি রিপোর্টার্স ইউনিটির উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির (জবিরিইউ) উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা’ বিষয়ক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল হয়েছে।

বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল হয়। 

এতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ইমতিয়াজ উদ্দিন এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান তুহিন ও যুগ্ম সম্পাদক ইউসুফ আলী বাপ্পী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক জবি রিপোর্টার্স ইউনিটিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আমি জেনেছি রিপোর্টার্স ইউনিটি সবসময় স্বাধীনতার চেতনায় বলিয়ান। জন্মলগ্ন থেকে বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক ছিলেন, ফলে আমরা বলতে পেরেছি ধর্ম যার যার উৎসব সবার। বাংলাদেশ স্বাধীনের পর মাত্র তিন বছরের শাসনামলে তিনি যে অবকাঠামো তৈরি করে দিয়েছেন, তা এখনো চলছে। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাইকে কাজ করতে হবে। বর্তমানে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে দূরে চলে যাচ্ছে। এজন্য আমাদের সবার সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে।

এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার্স ইউনিটি সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্বের দরবারে বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করছে। যেকোনো সহযোগিতায় প্রশাসন রিপোর্টার্স ইউনিটির পাশে থাকবে।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনা থেকে সবার শিক্ষা গ্ৰহণের পাশাপাশি বুকে ধারণ করে চলতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড লুৎফর রহমান, জবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহিম ফরাজি, সাধারণ সম্পাদক এস.এম আখতার হোসেন এবং রাইজিংবিডির মার্কেটিং ইনচার্জ সাজ্জাদ হোসাইন বক্তব্য রাখেন।

সাজ্জাদ চিশতী তার বক্তব্যে বলেন, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার রাজনৈতিক জীবনের সূচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশের সব মানুষকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সুখী, সমৃদ্ধ ও উন্নত দেশ গঠনে এগিয়ে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন বার বার। তাই আসুন, আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে সর্বাত্মক সহ‌যো‌গিতা করি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যাই।  

আলোচনা সভায় প্রক্টর অধ্যাপক ড মোস্তফা কামাল, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিক সমিতির সদস্য ও নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।