ক্যাম্পাস

মাসিক ‘ফি’ দিলেও মিলছে না জেনারেটর সুবিধা 

দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(পবিপ্রবি) অবকাঠামো ও শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও প্রশাসনিক স্থবিরতায় বাধাগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধা। নানা অব্যবস্থাপনার মধ্যে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে জেনারেটর বিড়ম্বনা। লোডশেডিং’র সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে তার জন্য জেনারেটর ব্যবস্থা থাকলেও সুবিধা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের।

লোডশেডিং’র পর একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবন এরিয়ায় নিয়মিত জেনারেটর সার্ভিস দিলেও শিক্ষার্থীদের হলগুলোতে দেওয়া হয় শিডিউল করে। এক হলে দিলে অন্য হলে দেওয়া হয় না। 

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) সারাদিন লোডশেডিং থাকায় শিক্ষার্থীরা মাল্টিমিডিয়া ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। সারাদিন লোডশেডিং থাকলেও জেনারেটর সার্ভিস পাওয়া যায়নি একাডেমিক সময়ে। লাইব্রেরি ও হলগুলোতে বিদ্যুৎ এবং জেনারেটর না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। 

কৃষি অনুষদের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আসিফ আল মাহমুদ ইশান বলেন, শতভাগ আবাসিক হওয়া স্বত্বেও রাতে লোডশেডিং-এ ঠিকমত জেনারেটর সার্ভিস পাই না। একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য জেনারেটর দিলেও তা হলে হলে ভাগ করে দেওয়া হয়। সম্প্রতি আবার এই সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছি। অথচ আমাদের থেকে নিয়মিত জেনারেটর ফি নেওয়া হয়।

২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী সৈয়দ ইমাম হোসেন  বলেন, আমাদের অনেক কোর্স কারিকুলামই মাল্টিমিডিয়া নির্ভর। সেক্ষেত্রে জেনারেটর সুবিধা না পাওয়ায় একাডেমিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। তাছাড়া একটি ক্লাসে প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এমতাবস্থায় বিদ্যুতহীন ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা আমাদের পক্ষে কষ্টকর। আমরা জেনারেটর ফি দিলেও ঠিকমতো সুবিধা পাচ্ছি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম বলেন, জেনারেটরে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকায় ঠিকমতো সার্ভিস দিতে পারছে না। ত্রুটির কারণে ঢাকা থেকে মিস্ত্রি আনতে বলা হয়েছে, যা সময় সাপেক্ষ। শিক্ষার্থীদের যে অভিযোগ, ‘প্রায়ই যান্ত্রিক ত্রুটির কথা শোনা গেলেও কর্তৃপক্ষ কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছে না’ তা সত্য নয় বলে দাবি করেন তিনি।