ক্যাম্পাস

ভারতের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে ঢাবিতে মানববন্ধন 

ভারতের কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন সে দেশের শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশের নারী শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ‘আওয়াজ তোলো নারী’ এর ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ধর্ষণের পর হাসপাতালে ঢুকে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে সব প্রমাণ নষ্ট করা হয়েছে৷ আমাদের দেশেও তনু-মুনিয়ার ঘটনায় আমরা বিচার পাইনি। সাড়ে ৪ হাজার ধর্ষণ মামলার মধ্যে হাতেগোনা চার-পাঁচটা মামলার বিচার হয়েছে। আমাদের দাবি, স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটিয়ে আমরা যেখানে নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, সেখানে নারীদের জন্য সুবিচার চাই। 

ঢাবি’র নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলেয়া তাহমিম বলেন, আমরা আজকে বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে ইন্ডিয়ার কথা বলছি, এটা আমার কাছে আইরনি লাগছে। সেখানে অন্তত বিচার বিভাগ ও পুলিশের কিছু স্বাধীনতা আছে ধর্ষণের নিরপেক্ষ বিচার করার। কিন্তু, গত ১৫ বছর ধরে আমাদের দেশে পুলিশ বা বিচার বিভাগের এই ধরনের স্বাধীনতা ছিল না। আমার জানা মতে, কখনোই ছিল না। গত সরকার ধর্ষকদের বিচার করার চেয়ে শেল্টার দিয়েছে বেশি। 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী লামিশা জামাল বলেন, আমাদের দেশে ধর্ষণের ঘটনা এতই বেশি যে, একটি ঘটনা বলতে গেলে আরেকটি ঘটনা মনে করতে পারি না। সিলেটের এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় নিউজ দেখলাম, সেখানে চারটি নিউজ চার রকম। কেন হচ্ছে এসব? আমাদেরকে বলা হয়, মেয়েদের সেল্ফ ডিফেন্স শিখতে হবে, কারাতে শিখতে হবে। এসব বিষয়ে সরকারি- বেসরকারি নানা সেমিনার করা হয়। কিন্তু, ছেলেদের নিয়ে কয়টা সেমিনার হয়েছে। শরীরটাকে মেয়েদের শরীর না ভেবে মানুষের শরীর ভাবতে হবে, আমি মেয়ে হওয়ার আগে মানুষ। আসুন, শুধু আইন ও বিচার বিভাগের দিকে না তাকিয়ে থেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে আওয়াজ তুলি ধর্ষকদের বিরুদ্ধে, হেনস্তারকারীদের বিরুদ্ধে। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘কলকাতা টু বাংলাদেশ, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’,‘জাস্টিস ফর আর জি কর, জাস্টিস ফর মৌমিতা’,‘ধর্ষকের শাস্তি একটাই, মৃত্যুদণ্ড ছাড়া কথা নাই’,‘প্রশ্ন যখন স্বাধীনতার, বাংলা জুড়ে ওয়াদ্দেদার' ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।