হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে যোগদান করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে হাবিপ্রবির ক্যাম্পাসে পৌঁছালে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে বরণ করে নেন। এর আগে, সোমবার (২২ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতি ও হাবিপ্রবি’র চ্যান্সেলর এর আদেশক্রমে চার বছরের জন্য তাঁকে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
এদিকে, যোগদান প্রক্রিয়া শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিআইপি কনফারেন্স কক্ষে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, পরিচালক, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন হলের সুপার, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, প্রক্টর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাংবাদিকবৃন্দের সঙ্গে পরিচিতি ও মতবিনিময় করেন উপাচার্য।
হাবিপ্রবির সদ্য বিদায়ী জরুরি প্রশাসনিক ও আর্থিক দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. হাসান ফুয়াদ এল তাজের সভাপতিত্বে ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবিরের সঞ্চালনায় এ সময় উপাচার্য বলেন, দেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক রাষ্ট্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাবিপ্রবির উপাচার্য হিসেবে আমাকে নিয়োগদানের জন্য অন্তর্বতীকালীন সরকারকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনুষদের অধীনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুগোপযোগী বিভাগ রয়েছে। বিভাগগুলোর শিক্ষা-গবেষণার মান বৃদ্ধিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক মান উন্নয়নে আমি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব র্যাংঙ্কিংয়ে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাওয়া ও দেশসেরা হিসেবে আর্বিভূত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে অনেকগুলো কম্পোনেন্ট জড়িত। শিক্ষক-গবেষকগণের কার্যক্রম এসব কম্পোনেন্টের মূখ্য বিষয়। তাই আমি লক্ষ্য পূরণে শিক্ষক-গবেষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট সবার সর্বাত্মক অংশগ্রহণ এবং সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
গণঅভ্যুত্থানের শহিদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, গবেষণায় আর্থিক বরাদ্দ ও প্রণোদনা অপরিহার্য। আমি এটা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ নিব। আমার প্রশাসনে ন্যায্যতা, ন্যায়-নীতি অনুসরণ করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদকে আমি ক্ষমতা নয়, দায়িত্ব মনে করি। ব্যক্তিগতভাবে আমি কোনো রাজনৈতিক দলের আদর্শ ধারণ করতে পারি। কিন্তু উপাচার্য হিসেবে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার। ভিন্ন মতের উপর শ্রদ্ধা, পরমত সহিষ্ণুতা, পারস্পরিক সম্মান-শ্রদ্ধা গণতন্ত্রের বৈশিষ্ট্য, এট আমি অক্ষুণ্ন রাখবো।
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, প্রাপ্য অধিকার ও ন্যায্যতা থেকে কেউ বঞ্চিত হবেন না। শিক্ষার্থীরা যে সংস্কার এবং পরিবর্তনের অভিযাত্রা শুরু করেছেন, তাদের এ অভিযাত্রায় আমি অগ্রভাগে থাকবো এবং বিশবিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ রক্ষায় যা কিছু সম্ভব, আমি করবো।