জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় ‘অযৌক্তিক’ পোষ্য কোটা সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।
এ সময় জাবি শাখার সদস্য সচিব তৌহিদ সিয়াম বলেন, “পোষ্য কোটা চিরতরের জন্য বাতিল করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরদের অন্তত একটা চাকরির ব্যবস্থা আছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসা এমন হাজারো শিক্ষার্থী আছেন, যাদের বাবা কৃষক কিংবা শ্রমিক। তাহলে তাদের সঙ্গে সব থেকে বড় বৈষম্য করছে প্রশাসন। অতিদ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থেকে এ বৈষম্যমূলক পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে।”
জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় নূন্যতম নম্বর তুলেই একজন পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পাচ্ছে। অথচ দেশের কৃষক—শ্রমিকদের সন্তানরাও মেধার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছে। তাই আমরা মনে করি, পোষ্য কোটা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৈষম্য তৈরি করছে।”
তিনি বলেন, “বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোষ্য কোটা নামের কোন কোটা থাকতে পারে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে জাবির ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে, অন্যথায় সচেতন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলব।”
অবস্থান কর্মসূচীর শেষে বেলা ৩টায় সংবাদ সম্মেলনে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তারা আগামী তিনদিন বিভাগ ও হল গুলোতে লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে গণসংযোগ কর্মসূচী পরিচালনা করবেন বলে জানান।
এছাড়া আগামী রবিবারের (২ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে পোষ্য কোটার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের অবস্থান স্পষ্ট না করলে গণঅনশনের হুঁশিয়ারী দেন।