ক্যাম্পাস

জবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ নেতার মিথ্যা মামলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী সাগর চৌধুরীর বিরুদ্ধে তার এলাকার এক আওয়ামী লীগ নেতা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহীদ রফিক ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানান ভুক্তভোগী সাগর চৌধুরী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ১২ তম আবর্তনের শিক্ষার্থী।

তিনি বলেন, “২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির নেতৃত্বে আমার বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। আমার বাবা একজন সেনা সদস্য ছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা একটা মামলা করি। কিন্তু ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আমাদের ৩০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মামলাটি উঠিয়ে নিতে বলেন। কিন্তু আমরা তা না করে আদালতের মাধ্যমে ন্যায়বিচার চেয়েছিলাম। এরপরে আমার বাবার হত্যার ২ মাস আগে পাশে গ্রামের একটা হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আমাকে আসামী করে চার্জশিট তৈরি করিয়েছে কাশিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি। 

তিনি আরো বলেন, “আমার এ হত্যার সঙ্গে কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। আমি ছোটবেলা থেকেই ঢাকায় থাকি কখনো এলাকায় সেভাবে থাকা হয়নি। আমি জুলাই বিপ্লবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরাসরি অংশগ্রহণ করি। ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী সরকার পতন হওয়ার পর আমাকে সিআইডি ও বিভিন্ন সরকারি তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে হয়রানিমূলক মামলায় আসামী করে চার্জশিটে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে আমার বাবার হত্যাকারী কাশিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির ছেলে। সে এখন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে আছে। আমি এ হয়রানিমূলক হত্যা মামলা থেকে মুক্তি চাই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ১০ম আবর্তনের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ বলেন, “সাগর জুলাই আন্দোলনে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে ছিল। সে পুরান ঢাকায় থাকত। তার বাসা গোপালগঞ্জে খুব কমে যেত, ২০২৩ সালে সে ঢাকাতেই ছিল। তাকে মিথ্যা এবং হয়রানিমূলক হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এ মামলা থেকে তার নিঃশর্তে মুক্তি চায়।”

তিনি আরো বলেন, “মামলার বাদী গোপালগঞ্জ কাশিয়ানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি এখনো বহাল তবিয়তে এলাকায় বিচরণ করছে। তার ছেলে পুলিশের এসআই থাকায় সে এ কাজগুলো এখনো করে বেড়াচ্ছে। আমরা তারও বিচার দাবি করছি।”

এ বিষয়ে হয়রানির শিকার সাগর চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সহায়তা দাবি করেন। প্রক্টর সবকিছু শুনে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।