সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ফিশারিজ অনুষদের আরসিসি ড্রেন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ড্রেনের প্রাচীর ভেঙে পড়েছে। ফলে নির্মাণ কাজে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফিশারিজ অনুষদের নিচ দিয়ে নির্মিত আরসিসি ড্রেনের একাংশ হেলে পড়েছে। ওই হেলে পড়া অংশটি ভেঙে ফেলছেন নির্মাণ শ্রমিকরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্মাণ কাজে নিম্নমান বজায় রাখার ফলে কাজ শেষ হওয়ার আগেই ড্রেনটি ভেঙে পড়ে। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
ফিশারিজ অনুষদের শিক্ষার্থীরা নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে কাজের মান যাচাইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
জানা গেছে, চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। তবে চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের বদলে কাজ করছেন সিলেট মহানগরীর বালুচর এলাকার এনামুল নামের এক ব্যক্তি। এর পেছনে ‘অদৃশ্য শক্তি’ কাজ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ড্রেনের কাঠামো ভেঙে পড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এনামুল বলেন, “নিয়ম মেনেই কাজ করা হয়েছে, কাজের মানে কোনো ত্রুটি হয়নি। এটি পরিকল্পনা ও লোড ক্যালকুলেশনে ভুল ছিল। ৭ ফুট উচ্চতার ড্রেনে মাত্র ৩ মি.লি. রডের একটি জালি ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে ডাবল জালি ব্যবহার করার কথা ছিল। এছাড়া টানা ও কলম ব্যবহার করা হয়নি। অপরদিকে, বৃষ্টির কারণে মাটির চাপ বেড়ে যাওয়ায় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ড্রেন ভেঙে গেছে।”
ক্ষতিপূরণের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার কাজ পরিকল্পনা অনুযায়ী ঠিক আছে। আমি কোথা থেকে ক্ষতিপূরণ দেব?”
ড্রেনের কাজের তত্ত্বাবধানে থাকা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আল মাহমুদ বলেন, “লোড সঠিকভাবে হিসাব করে যতটুকু রড দেওয়ার প্রয়োজন ছিল, ততটুকুই দেওয়া হয়েছে।”
কাজের মানের ব্যাপারে তিনি বলেন, “চোখের দেখায় মান বোঝা যাবে না। তবে কিউরিং সঠিকভাবে না করেই মাটি চাপা দেওয়ার কারণেই ড্রেন ভেঙে পড়েছে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এটিএম মাহবুব এলাহী বলেন, “এ বিষয়ে অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। একটা মিস ইনফরমেশনের কারণে এমন ঘটনা ঘটে গেছে। এটা নিয়ে বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। এটি ঠিক করার উদ্যোগ সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া হয়েছে এবং কাজ চলমান।”