ক্যাম্পাস

আমাকে দেখলেই নিজের অসুস্থতা ভুলে যান মা

মা ছোট্ট একটা শব্দ। কিন্তু এতে লুকিয়ে রয়েছে অনেক মায়া, ভালোবাসা আর ত্যাগ। মায়ের ত্যাগের গল্পটা নাহয় বলি।

প্রতি ঈদে বাবা আমার আর মা এর জন্য জামা কেনার টাকা দিতেন। কিন্তু আমি দেখতাম আমাকে জামা কিনে দিলেও মা কিনতেন না। যখন ছোট ছিলাম এগুলো নিয়ে কখনো ভাবিনি। কিন্তু যখন বড় হলাম, বুঝতে পারলাম- মা সেসব টাকা জমিয়ে রাখতেন আমার লেখাপড়ার খরচের জন্য।

ক্লাস নাইন থেকে প্রতি টিউশনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় একসঙ্গে অনেক টাকা গুণতে হত। মা তার ছোট ছোট ইচ্ছেগুলো পূরণ না করে সেই টাকা জমিয়েছেন আমার জন্য। শুধু কি তাই? আমার প্রতিটা অসুস্থ রাত মা না ঘুমিয়ে আমার যত্ন করেছেন। আমার পছন্দের খাবার নিজে না খেয়ে তুলে দিয়েছে আমার প্লেটে।

তখন ভার্সিটিতে নতুন ভর্তি হয়েছি। এই প্রথম বাবা-মা থেকে দূরে থাকা। কিছুতেই মন বসত না। অপেক্ষায় ছিলাম একটা ছুটির। অবশেষে পেয়েও যাই। মাকে না জানিয়ে বের হয়ে যাই বাড়ির উদ্দেশ্যে। গিয়ে দেখি মা অসুস্থ। কিন্তু আমাকে দেখা মাত্রই নিজের অসুস্থতা ভুলে মা নিজে হাতে আমাকে খাওয়ালেন।

বাবা অফিস থেকে এসে মুচকি হাসি দিয়ে বললেন, “কি ব্যাপার! মেয়েকে দেখে এখন সুস্থ?”

এ রকম হাজারো গল্প আছে আমার মা কে নিয়ে। যত বড় হচ্ছি তত বুঝতে পারছি, মা আমার জন্য কত ত্যাগ শিকার করে চলেছেন। দিনশেষে একটাই চাওয়া ভালো থাকুক, আমার মা। ভালো থাকুক, পৃথিবীর সব মা।

তোমাকে কখনো বলা হয়নি, অনেক ভালোবাসি মা।

(লেখক: শিক্ষার্থী, দ্বিতীয় বর্ষ, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়)