ক্যাম্পাস

মা তোমাকে খুব ভালোবাসি

মা, মাতৃভূমি ও মাতৃভাষা সব মানুষের কাছেই প্রিয়। মায়ের কারণে এই সুন্দর পৃথিবীতে আমরা জন্মলাভ করেছি। শৈশব থেকে অনেক যত্ন নিয়ে মা তার সন্তানকে বড় করে তোলেন। আমার মা-ও এর ব্যতিক্রম নন। আমার মা মধ্যবিত্ত বাঙালি। পরিবারের গৃহিণী। 

একেবারে ছোট থেকে অনেক কিছু আমি আমার মায়ের কাছে শিখেছি। যখন স্কুলে ভর্তি হইনি, তারও আগে থেকে যেদিন প্রথম পেন্সিল ধরেছিলাম, সেদিন মা প্রথম আমার হাতে পেন্সিল তুলে দিয়েছিলেন। আমার যত আবদার সব মাকে ঘিরে ছিল, এখনও আছে। এমনকি আমার খেলার সঙ্গী ছিল আমার মা। সন্ধ্যার পর মুখে মুখে ছড়া শেখাতেন। প্রতি বারের নাম, মাসের নাম শেখাতেন। ওসব ছিল আমার স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়ার অংশ।  স্কুলে ভর্তি হওয়ার পরও মা আমাকে পড়া দেখিয়ে দেন। সকালে স্কুলের জন্য আমাকে তৈরি করেন। জামা-জুতা পরানো থেকে শুরু করে একেবারে স্কুলের ব্যাগ গুছিয়ে দেওয়া- মা এক হাতে সব কাজ করেন। 

আমার ভালোলাগা, মন্দলাগা, মন খারাপ করার সব কথা মা জানেন। আমার কী খেতে ভালো লাগে, কী করতে ভালোবাসি তিনি জানেন। আমার মায়ের মতো ভালো আর দ্বিতীয়টি নেই। তিনিই আমার স্বর্গ।

পরিবারের সবার দেখাশোনা মা করেন। রান্নাবাড়ি, ঘর সামলানো সব কাজ তিনি করেন। কিন্তু এত কিছুর মধ্যেও তিনি আমার কথা ভাবেন। শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা বলেন। না বুঝলে আদর করে সব বুঝিয়ে দেন। 

সবাইকে নিয়ে আনন্দে থাকতে তিনি বেশি পছন্দ করেন। পরিবারে কোনো উৎসব হলে মা’র কাজ বেড়ে যায়। তবুও তিনি মন খারাপ করেন না। হাসি মুখে দায়িত্ব পালন করেন। গানের আসর বসিয়ে উৎসব মনোরম করে তোলেন। আমাকে নিয়ে আবৃত্তি করেন। 

মা সংসারের ফাঁকে শখের কাজও করেন। দুপুরে খাবার পর বইপড়া তার অভ্যাস। আমাকেও গল্প পড়ে শোনান। ছুটির দিন বেড়াতে নিয়ে যান। আমার বেড়াতে খুব ভালো লাগে। স্যার বলেছেন, মায়ের মনে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়। আমি কখনও মাকে কষ্ট দেব না। আমার মা আমার কাছে অন্যতম শ্রেষ্ঠ আদর্শ। মাকে খুব ভালোবাসি এবং গর্ববোধ করি।   

ষষ্ঠ শ্রেণী, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ