ক্যাম্পাস

জবি ডিবেটিং সোসাইটির সম্পাদকের ওপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য মো. মেহেদী হাসানের ওপর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানবন্ধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে গিয়ে মানববন্ধন করেন ডিবেটিং সোসাইটির সদস্যরা।

মিছিলে তারা ‘মেহেদীর উপর হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাই আহত কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘জুলাইয়ের সৈনিক এক হও, এক হও’, ‘২৪-এর যোদ্ধারা, লড়াই করো, প্রতিরোধ গড়ো’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসন বিদায় নিলেও তার দোসররা এখনো সক্রিয়। মেহেদী হাসানের ওপর বর্বর হামলার ঘটনা এটাই প্রমাণ করে। হামলাকারীদের অবিলম্বে শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

জবি শাখা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, “আমরা ভেবেছিলাম ৫ আগস্টের পর দেশে শান্তি ফিরবে। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। আমাদের ভাইয়েরা এখনো আক্রান্ত হচ্ছে। যদি এই হামলার বিচার না হয়, তাহলে ছাত্র সমাজ রুখে দাঁড়াবে।”

ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মঈন আল মুবাশ্বির বলেন, “ফ্যাসিবাদের দোসররা আমাদের ভয় দেখাতে চায়। কিন্তু আমরা জানিয়ে দিতে চাই, কোনো হুমকি আমাদের থামাতে পারবে না।”

মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন বলেন, “মেহেদীর রক্তাক্ত ছবি দেখে আমি হতবাক হয়েছি। সে একজন শান্ত স্বভাবের শিক্ষার্থী এবং জুলাই আন্দোলনের এক অগ্রসৈনিক। শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।”

শনিবার (২৪ মে) চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় নিজ এলাকায় হামলার শিকার হন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য মো. মেহেদী হাসান। তার ওপর পরিকল্পিত ও বর্বরোচিত এ হামলা চালায় নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা। এ ঘটনায় জড়িত ইউনিয়ন শাখার সভাপতি শাহজাহানকে স্থানীয় প্রশাসন গ্রেপ্তার করেছে।