খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থী ইফাজের ওপর হামলাকারী ও গুপ্ত সংগঠনের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদল।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর সংলগ্ন ছাত্রদলের দলীয় টেন্ট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জোহা চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক এসএম মাহমুদুল হাসান মিঠু বলেন, “সারাদেশের প্রতিটি ক্যাম্পাসে প্রতিনিয়ত যে গুপ্ত হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত! সাধারণ শিক্ষার্থীদের বেশ ধরে কারা এসব হামলা চালাচ্ছে, সেটা খুব পরিষ্কার। সব বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ, আপনারা জাতির মেধাবী সন্তানদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করবেন এবং ক্যাম্পাসগুলোতে শিক্ষার পরিবেশ অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য গুপ্ত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।”
যুগ্ম-আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, “কুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী ইফাজের উপরে গুপ্ত সংগঠনের সন্ত্রাসীরা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্য হত্যার বিচার এখনও পাইনি আমরা। এ মুহূর্তে আবারো এমন হামলা, এটা অবশ্যই পরিকল্পিত ঘটনা।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশপন্থিদের এসব টার্গেট কিলিং করা হচ্ছে। এসব হত্যা এবং হামলা করে বাংলাদেশপন্থিদের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। দিল্লি ও পিন্ডির দোষরদের বাংলাদেশপন্থিরাই রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া করে ছাড়বে।”
যুগ্ম-আহ্বায়ক সরদার জহুরুল বলেন, “শিক্ষার্থী ইফাজের ওপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেবে না বাংলাদেশ ছাত্রদল, যেকোনো প্রেক্ষাপটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবে।”
আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে যত হামলা হয়েছে তার পিছনে গুপ্ত বাহিনী শিবিরের হাত রয়েছে। গতকাল চট্রগ্রামে আমাদের বোনের উপর যে হামলা হয়েছে, তার বিচার এখনো পাইনি। দুইদিন আগে রাবিতে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্টের উপর হামলা চালিয়ে শিবির তার পূর্বের ধারার রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে। ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি না করলে বাংলাদেশে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই।”