পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকায় অবস্থানরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের জন্য মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছে শাখা ছাত্রশিবির। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে।
শনিবার (৩১ মে) শাখা ছাত্রশিবিরের ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদের দিন ঢাকায় অবস্থানরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের পরিবারবর্গকে এই আয়োজনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী আর্থিক সীমাবদ্ধতা বা পরীক্ষার কারণে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরতে পারেন না। পরিবার থেকে দূরে থেকে ঈদের দিন একাকীত্ব এবং রান্না নিয়ে সমস্যায় পড়েন অনেকেই। এসব বিবেচনায় মানবিক সহানুভূতি থেকেই ছাত্রশিবির এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান বলেন, “এবার বেশকিছু কারণে বাড়ি যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ঈদের সময় এমন আয়োজনে অংশ নিতে পারলে মানসিকভাবে অনেকটা ভালো লাগবে। এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ।”
আরেক শিক্ষার্থী ফয়সাল মাসুদ বলেন, “ঢাকায় ঈদের দিন একাকী সময় কাটানো কষ্টকর। এটি শুধু খাবারের আয়োজন নয়, এটি একাকীত্ব থেকে মুক্তি ও পারস্পরিক সম্প্রীতির প্রতীক। এমন উদ্যোগ সবারই নেওয়া উচিত।”
শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, “অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে থেকে শিক্ষার্থীরা উৎসব উদযাপন করতে পারলেও আমাদের শিক্ষার্থীরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তাই সবাইকে নিয়ে যেন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা যায়, সেই চেষ্টাই করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “প্রতিবছর কোরবানি ও মাংস বিতরণসহ বিভিন্ন আয়োজন করে থাকি। এবার বড় পরিসরে আয়োজন করতে পেরে মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। সবার সহযোগিতাও কামনা করছি।”
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য আসাদুল ইসলাম বলেন, “জবি অনাবাসিক হওয়ায় ঈদের সময়ে অনেক শিক্ষার্থীকে নানা দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়। তাই প্রতি বছরই শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়। তবে এতদিন সেই আয়োজনগুলো গোপনে করতে হয়েছে। গত ১৬ বছর ধরে আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে আসছি। এবারই প্রথমবারের মতো তা প্রকাশ্যে আয়োজন করেছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য, সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া।”