ক্যাম্পাস

শাবিপ্রবি ছাত্রী ধর্ষণ: অভিযুক্ত ২ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার

তদন্ত কমিটিতে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়  (শাবিপ্রবি) প্রশাসন।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃতরা হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছে। শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জরুরি সিন্ডিকেটে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, সোমবার (২৩ জুন) রাত সাড়ে ৯টায় ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও ছাত্রত্ব বাতিলের দাবিতে মশাল মিছিল করেন শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা। গোলচত্বর থেকে মশাল মিছিল শুরু করে মেয়েদের হল এলাকাসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকে গিয়ে সমাবেশ করে।

সমাবেশে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমির হোসেন বলেন, “আজ (সোমবার) আদালতে অভিযুক্তদের চোখেমুখে কোনো ভয় ছিল না, বরং আত্মবিশ্বাস ছিল। যেন তারা জানে, বিচারপ্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রিতা বা আইনগত ফাঁকফোকর পেরিয়ে তারা ছাড়া পেয়ে যাবে। এ অবস্থা বিচার ব্যবস্থার ওপর জনআস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। পুলিশকে অবশ্যই রিমান্ডে নিয়ে স্বীকারোক্তি আদায় করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”

গত ২ মে সিলেটের রিকাবীবাজারে একটি কনসার্টে যাওয়ার পূর্বে অচেতন করে একটি ছাত্রাবাসে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরে ১৯ জুন ভুক্তভোগীর সহপাঠী ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাশ পার্থসহ আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।

শুধু ধর্ষণ নয়, এর ভিডিও ধারণ করে অভিযুক্তরা নিয়মিত তা ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীকে ব্লাকমেইল করছিলেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় প্রাথমিক সত‍্যতা পাওয়ায় ১৯ জুন রাতেই অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে ২০ জুন সিলেট কোতোয়ালী থানায় আটক দুইজন ও অজ্ঞাতনামা পাঁচজনের বিরূদ্ধে মামলা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী। সোমবার (২৩ জুন) আসামিদের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

অন্যদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গত ২০ জুন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে।