ক্যাম্পাস

পাবিপ্রবিতে ২ অনুষদের উদ্যোগে প্রথম জাতীয় সম্মেলন

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের উদ্যোগে প্রথম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সম্মেলন শিক্ষা ও গবেষণায় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২৮ জুন) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ভবনের গ্যালারি-২ তে ‘টুওয়ার্ডস এ সাসটেইনেবল ফিউচার ইকোনোমিক স্টাবিলিটি, পলিটিক্যাল রিফর্মস অ্যান্ড সোসিও কালচারাল ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক দিনব্যাপী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল-আওয়াল। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান।

পাবিপ্রবি’র মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মীর খালেদ ইকবাল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে মুল বক্তা ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মো. ফরিদ উদ্দিন খান এবং সম্মানিত অতিথি ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রফিকুল ইসলাম।

পাবিপ্রবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম বলেন, “এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমাদের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমাদের নতুন নতুন ধারণা ও চিন্তা করতে হবে। এ ধরনের সম্মেলন শিক্ষা ও গবেষণায় মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। এর ফলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের কোলাবোরেশন বাড়বে এবং দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম আব্দুল-আওয়াল বলেন, “বছরের পর বছর আমাদের কোনো টেকসই উন্নয়ন হয়নি এবং আমরা কোনো ভালো নেতৃত্বও পাইনি। গত ১৭-১৮ বছরে দেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। ফলে টেকসই অর্থনীতিতে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে। আমাদের মধ্যে ইনোভেটিভ আইডিয়া ও পটেনশিয়ালিটি থাকতে হবে। আমাদের অনেক সুযোগ আছে, সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।”

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘদিন এমন জাতীয় ও আন্তর্জাতিন সম্মেলন হয়নি। এর আগে প্রথম ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে প্রথম বিজনেস সম্মেলন হয়েছিল। এটি দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন। আগামীতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করা হবে।”

লোক প্রশাসন বিভাগের প্রভাষক নিশাত তাবাসসুম এবং ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সাবিহা আফরিন বাঁধনের সঞ্চালনায় সম্মেলেনে দেশের সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ জন গবেষক, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আমন্ত্রিত শিক্ষাবিদগণ অংশগ্রহণ করেন।